ঢাকা, শুক্রবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ মে ২০২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

মধ্যরাতে পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২০ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৪, মে ২২, ২০২৫
মধ্যরাতে পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২০ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২০ জনকে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।  

বুধবার (২১ মে) মধ্যরাতে পাটগ্রাম উপজেলার রহমতপুর গাটিয়ার ভিটা সীমান্ত দিয়ে এদের পুশইন করা হয়।

 

পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাতে বিএসএফ গাটিয়ার ভিটা সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন নারী ও শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। তাদের মধ্য থেকে ২০ জনকে বিজিবি ধবলসুতি ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও সাতটি শিশু ও দুজন পুরুষ রয়েছেন।

স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, মধ্যরাতে মোট ৩৫/৪০ জনকে পুশইন করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথমে ১১ জনকে আটক করে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। পরে স্থানীয়রা আরও দুই দফায় নয়জনকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান। এভাবে অনেকে সীমান্ত পার হয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। ভালো করে তল্লাশি করলে আরও অনেককে পাওয়া যাবে।  

বিজিবি ধবলসুতী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল মতিন জানান, বিএসএফ ২০ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তিন/চার দফায় পুশইন করা ২০ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আর কেউ আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

আটক নারীদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা ২০/২৫ দিন ভারতীয় জেলে বন্দি ছিলেন। এরপর ভারতীয় পুলিশ গাড়িতে করে নিয়ে এসে সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তারা সবাই মুসলিম।

ওসি জানান, আটক সবাই নিজেদে বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছেন। যার মধ্যে ১৭ জন নড়াইলের, দুজন যশোরের ও একজন খুলনার বলে দাবি করেছেন। তাদের দেওয়া ঠিকানা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা যাদের আত্মীয়-স্বজন হিসেবে দাবি করেছেন, তাদের নাগরিকত্ব সনদ ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।