ঢাকা, বুধবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৮ মে ২০২৫, ০০ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে পাচার, ফিরল ৩৬ শিশু 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৪৪, মে ২৭, ২০২৫
চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে পাচার, ফিরল ৩৬ শিশু  ভারত থেকে ফিরে আসা শিশুরা সামনের সারিতে

যশোর: ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ বাংলাদেশি শিশুকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগে ওই শিশুরা বিভিন্ন সময় ভারতে আটকের পর ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে সে দেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার শেল্টারহোমে ছিল।

মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের তথ্যানুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভারত থেকে আসা শিশুদের মধ্যে ছেলে ২০ জন, মেয়ে ১৬ জন।

তাদের মধ্যে রাইটস যশোর ১৪ শিশু, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ১৩ শিশু এবং জাতীয় আইনজীবী সমিতি নয় শিশুকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং ও অন্যান্য সেবা দেওয়ার পর নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, ফেরত আসা শিশুদের বাড়ি যশোর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, নাটোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কক্সবাজার, ঢাকা, নেত্রকোনা, রংপুর, মাদারীপুর নরসিংদী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম জেলায়।

তিনি বলেন, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে শিশুদের নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। সেখানে সাধারণ ডায়েরির পর তাদের জিম্মায় নেয় রাইটস যশোর, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি।

শিশুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা পাচারকারীদের কাছ থেকে চাকরির কথা শুনে ভারতে গিয়েছিল। সেখানে নিয়ে তাদের ওপর চালানো হয় নানা নির্যাতন।  

পরে বিভিন্ন সময় পুলিশি অভিযানে তারা আটক হয়। তাদের বিনা পাসপোর্টে সে দেশে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা আইনি সহায়তা দিয়ে তাদের বের করে নিজেদের জিম্মায় রাখেন।

রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান, শিশুদের বাংলাদেশি জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে সরকারের সহায়তায় এবং ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, পাচারের শিকার প্রতিটি শিশুকে বিশেষ সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কারও পরিবার যদি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায়, তাহলে সে বিষয়ে সহায়তা করা হবে।

আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।