ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত সকাল ৯টায়, নিরাপত্তায় ৫ স্তর ব্যবস্থা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৫, জুন ৪, ২০২৫
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত সকাল ৯টায়, নিরাপত্তায় ৫ স্তর ব্যবস্থা

কিশোরগঞ্জ: দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। সকাল ৯টায় শুরু হবে এবারের ঈদুল আজহার জামাত।

রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। এর মধ্যে তিনটি জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে, দুটি ৩ মিনিট আগে এবং একটি জামাতের ১ মিনিট আগে।

এবারের ১৯৮তম ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করবেন মুফতি মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই।

ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি কিশোরগঞ্জবাসীসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহে জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও ডিসি ফৌজিয়া খান, ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মো. কাজেম উদ্দীন এবং র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আশরাফুল কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঈদ জামাত নির্বিঘ্ন করতে শোলাকিয়া ঈদগাহের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

শোলাকিয়া জামাতকে কেন্দ্র করে পুরো কিশোরগঞ্জ শহরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের শুধুমাত্র জায়নামাজ সঙ্গে আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, দাহ্য পদার্থ, ছাতা, ব্যাগ বা অন্যান্য সামগ্রী ঈদগাহ মাঠে আনা নিষিদ্ধ।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি, পর্যাপ্ত অজুর পানি, ওয়াশরুম এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবার জন্য মেডিকেল ক্যাম্প রাখা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত থাকবে।

মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ এবং ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে চলবে দুটি বিশেষ ট্রেন—‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’।

স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই ঈদগাহ মাঠে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে মাঠটির নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, যা পরে পরিচিত হয় ‘শোলাকিয়া’ নামে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।