ঢাকা, সোমবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জুন ২০২৫, ১২ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

হাজার লোকের বাড়িতে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিলেন তিনি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২২, জুন ৮, ২০২৫
হাজার লোকের বাড়িতে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিলেন তিনি

যশোর: কোরবানির ঈদ মানে বিত্তবানদের বাড়ির সামনে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের দীর্ঘ লাইন। এক টুকরো মাংসের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা।

তারপর কারও কারও ভাগ্যে জোটে, কেউ একরাশ হতাশা নিয়ে চলে যান অন্য কারও বাড়ির সামনে। অনেকে আবার লোকলজ্জার ভয়ে বাইরেও বের হতে পারেন না।

এসব অসহায় মানুষের জন্য এবার কোরবানির ঈদে এক মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন জুলফিকার আলী জুলু নামে যশোরের একজন বিএনপি নেতা। তিনি একজন সাবেক জনপ্রতিনিধিও।

ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ জুন) দুটি গরু কোরবানি করে সমস্ত মাংস পৌঁছে দিয়েছেন এক হাজার দরিদ্র মানুষের বাড়িতে।
এজন্য আগে থেকে স্থানীয় ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় এলাকায় গিয়ে দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করেছেন তিনি।

রোববার সকালে গরু কোরবানির পর থেকেই মাংস প্যাকেট করে তালিকাভুক্ত জনতার বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন তারা।  

তারা জানান, দুটি গরুতে সাড়ে ১০ মণ মাংস পাওয়া গেছে। সব মাংস বিলি করা হয়েছে।

তালিকায় থাকা মানুষদের মধ্যে যারা গরুর মাংস খান না, তাদের জন্য কোরবানি দেওয়া হয়েছে দুটি ছাগল।

জুলফিকার আলী জুলুর বাড়ি যশোর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের শংকরপুর ইসহাক সড়কে। পেশায় আইনজীবী জুলু যশোর নগর বিএনপির সদস্য, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর।
তিনি জানান, তার দেওয়া কোরবানির মাংস পৌঁছেছে শংকরপুর, আলতাপের মোড়, রায়পাড়া হিজড়াপট্টি, সিগন্যাল ডাউন, বারেক পট্টি, আশ্রম সড়ক, বেজপাড়া পানির ট্যাংক, আনসার ক্যাম্প, আকবরের মোড়, বড়বাড়ি, কবরস্থান রোড, বিশ্বাসবাড়ি এবং শংকরপুর লাগোয়া চাঁচড়া ইউনিয়নের মেডিকেল কলেজ পাড়ায়।

পরিবারের সদস্যরা যাতে একবেলা রান্না করে খেতে পারেন, সেই পরিমাণ মাংস পাঠানো হয়েছে তালিকাভুক্ত সবার বাড়িতে।

বাড়ি বাড়ি মাংস পৌঁছানো প্রসঙ্গে জুলফিকার আলী জুলু বলেন, এর মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে সঠিক মানুষটার হাতে মাংস পৌঁছানো সম্ভব। যারা এটি পেয়েছেন, তাদেরও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

এদিকে বাড়িতে বসে কোরবানির মাংস পেয়ে খুশি সবাই। তাদের কয়েকজন বলেছেন, এক সময় গ্রামাঞ্চলে এভাবে কোরবানির মাংস বিলি করা হতো। তা আর দেখাই যায় না প্রায়। খোদ শহরের মধ্যে সেই ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছেন জুলু ভাই (অ্যাডভোকেট জুলু)।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরই জুলফিকার আলী জুলু গরিব মানুষকে কোরবানির মাংস দিতেন। আগে থেকে তালিকা তৈরি করে স্লিপ দিয়ে দেওয়া হতো। সেই অনুযায়ী মানুষ তার বাড়ি থেকে মাংস নিয়ে আসতেন। এবার তা ঘরে বসেই পেয়েছেন তারা।

এছাড়া তিনি রোজার ঈদে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিসও দিয়েছিলেন বলে জানান সুবিধাভোগীরা।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।