ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আইয়ুব আলীকে (৫২) সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন। এ সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আইয়ুব বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই নারী ফজরন বেগমের (৩০) বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পোয়াইল গ্রামে। বোন হত্যার দায়ে তার ভাই আইয়ুব শেখ ২০১৩ সালের ০৯ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন বোয়ালমারী থানায়। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর রাতে আমার বোনকে স্বামীর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্বামীর পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য মারধর করে হত্যা করে। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোনো লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। সব আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রোববার এ রায় দেন।
তিনি বলেন, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য, যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে।
এসআরএস