ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা, আরও যা জানা গেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৮, জুন ২৯, ২০২৫
হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা, আরও যা জানা গেল

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নে এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  

ভিডিওটি আপলোড করেছেন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা কামাল গাজী, যিনি দাবি করেছেন—ভিডিওতে দেখা যাওয়া মেয়েটি তার স্ত্রী।

তবে পুলিশ বলছে, এটি একটি পারিবারিক বিষয় এবং এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি এক কিশোরীকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে। তার হাত ও পা বাঁধা এবং সে উচ্চস্বরে চিৎকার করছে। ভিডিওর ক্যাপশনে কামাল গাজী লেখেন, “আমার বউকে মেরে হাত-পা বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ” এরপরই ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে কামাল গাজীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে মেয়েটি স্বেচ্ছায় কামালের বাড়িতে যায় এবং বিয়ের কথা বলে সেখানে থাকতে শুরু করে। তবে মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। সম্প্রতি তাকে ফিরিয়ে আনলেও সে আবার কামালের কাছে চলে যায়। গত ২৮ জুন রাতে মেয়েটির বাবা ও আত্মীয়-স্বজন তাকে কামালের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তখনই এই ভিডিও ধারণ করা হয়।

পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, ঘটনাটি একটি পারিবারিক বিষয়। এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, বাস্তবে ঘটনাটি সে রকম নয়।

রাঙ্গাবালী থানার ভারাপ্রাপ্ত (ওসি) এমারৎ হোসেন বলেন, ওই কিশোরীর সঙ্গে কামাল গাজীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে কিশোরীর পরিবারের সম্মতি ছিল না। মেয়েটিকে পরিবারের লোকজন জোর করে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো পক্ষ মামলা করেনি।

জানা গেছে, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে জনসাধারণকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাটি তদন্ত করছে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।