ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। জেলা শহর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের বাখুণ্ডা এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার, মহিলা রোডে ৩০০ মিটার এবং তালমা মোড়ে প্রায় ১০০ মিটার অংশের অবস্থা সবচেয়ে বেশি নাজুক। চলতি সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে নতুন করে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যা যান চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ঢাকা থেকে ফরিদপুরগামী পরিবহন চালক জালাল মাতুব্বর বলেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে যেখানে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে শুধু ভাঙ্গা গোলচত্বর থেকে ফরিদপুর শহরের ৩০ কিলোমিটার পথেই সময় লাগে প্রায় সমান। সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে ধীরে গাড়ি চালাতে হয়, এতে প্রায়ই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
নগরকান্দা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতিদিনই একাধিকবার মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। আগে যেখানে ৩০ মিনিটে পৌঁছাতাম, এখন লাগে এক ঘণ্টারও বেশি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ্ সরদার জানান, ভাঙ্গা থেকে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের জন্য টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির কারণে ঠিকাদাররা এখনও কাজ শুরু করতে পারেননি। দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত রাস্তার দুই পাশ প্রশস্ত করে ছোট যানবাহনের চলাচলের উপযোগী করে সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ সম্পন্নের জন্য ঠিকাদারকে নয়মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
চার লেন প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের কাজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধীনস্থ শাখা করছে। এই কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় প্রকল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। যেহেতু এটি সময়সাপেক্ষ, তাই অগ্রগতির জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআরএস