যশোর: বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় বক্তারা বলেছেন, মানব পাচারকারীরা সংখ্যায় কম হলেও সংগঠিত। পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষ বিষয়টি নিয়ে উদাসিন।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (৩০ জুলাই) যশোরে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল র্যালি ও আলোচনা সভা।
‘সংঘবদ্ধ অপরাধ মানব পাচার, বন্ধ হোক শোষণের অনাচার’ প্রতিপাদ্যে সকালে যশোর কালেক্টরেট চত্বরে সমবেত হন বিভিন্ন মানবাধিকার ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম প্রদত্ত সাদা গেঞ্জি ও লাল গামছা শরীরে জড়িয়ে চত্বর থেকে বের হওয়া র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
রাইটস যশোর আয়োজিত এই র্যালির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার। এসময় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাইটস যশোর কার্যালয়ে শেষ হয়। এখানে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
বক্তৃতা করেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম এর কনসালটেন্ট আরিফুজ্জামান, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসান, রাইটস যশোরের পরিচালক প্রদীপ দত্ত, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সরোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাক্তার এস এম আব্দুল্লাহ, কেএমএসএস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাকিয়া সুলতানা, রূপান্তরের প্রোগ্রাম অফিসার উজ্জ্বল কুমার পাল, ব্র্যাক এর ম্যানেজার (মাইগ্রেশন) রবিউল ইসলাম রুবেল এবং প্রাইড এর উজ্জ্বল বালা।
বক্তারা বলেন, মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে সহযোগিতা, সচেতনতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে। যার যেখানে সক্ষমতা রয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ সরকারের একার পক্ষে বৈশ্বিক এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন জিও-এনজিও সমন্বয়।
বক্তারা সরকারকে বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবসকে দেশব্যাপী সাড়ম্বরে পালনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। এতে সাধারণ মানুষ যারা দালালের খপ্পরে পড়ে চাকরির প্রলোভনে পড়ে বিদেশে যেয়ে পাচার হচ্ছে তারা সচেতন হতে পারবেন, সাবধান হতে পারবেন।
এসএইচ