ঢাকা, সোমবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

স্থায়ী ক্যাম্পাসের অনুমোদন, অনশন ভেঙে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উল্লাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৩, আগস্ট ১৭, ২০২৫
স্থায়ী ক্যাম্পাসের অনুমোদন, অনশন ভেঙে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উল্লাস অনশন ভেঙে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উল্লাস

সিরাজগঞ্জ: বিগত কয়েকদিনের আন্দোলনের পর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ডিপিপি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।  

খবর পেয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উল্লাসে মেতে উঠেছেন।

 

রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে প্রকল্প অনুমোদনের খবর পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া অনশনরত শিক্ষার্থীদের শরবত পান করানোর মাধ্যমে অনশন ভঙ্গ করান। টানা ২৭ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন।  

অনশন ভেঙে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উল্লাস

ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের খবর পেয়েছি। এরপর আমরা শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করেছি। এখন শিক্ষার্থীদের সবাই সুস্থ রয়েছেন। অনশন করে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে যারা ভর্তি ছিলেন, তারাও সুস্থ আছেন।

এদিকে ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদন হওয়ায় গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, ৫২ থেকে শুরু করে ৭১ ও ২৪ আমরা দেখেছি ছাত্রদের কোনো আন্দোলন বৃথা যায়নি। তারই ধারাবাহিকতায় স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে আমাদের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক আন্দোলন সফল হয়েছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার প্রতি, যারা আমাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিলেন, আমাদের উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, শাহজাদপুরসহ সিরাজগঞ্জের আপামর জনসাধারণের প্রতি।  

২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৬ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলেও ২০১৮ সালে ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে এক হাজার দুইশ শিক্ষার্থী, ৩৪ শিক্ষক, ৫৪ কর্মকর্তা ও ১০৭ কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। চারটি অনুষদের অধীন বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ম্যানেজমেন্ট এবং সংগীত এ পাঁচটি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান চলছে। বিগত সাত বছর ধরে শাহজাদপুরের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে।

গত এক বছর ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ।  

টানা ২৩ তিন মহাসড়ক ব্লকেড ও রেলপথ ব্লকেডসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। টানা ২৭ ঘণ্টা চলে তাদের অনশন। এতে ২০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়।  

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।