ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৩, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫
মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেদের রুপালি ইলিশ

দেরিতে হলেও ভোলার মেঘনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে জেলেপাড়ায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

জেলেরা জানান, মৌসুমের শুরুতে ইলিশ ধরা না পড়লেও গত এক সপ্তাহ ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে।

জেলে, পাইকার আর আড়তদারদের হাঁক-ডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের আড়ৎ। মাছের এমন সরবরাহ অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমের শুরুটা ভালো কাটেনি ভোলার জেলেদের। মেঘনায় ইলিশের সংকট থাকায় ধারদেনা করে চরম অভাবে পড়েছিলেন তারা। তবে এখন আর সেই চিত্র নেই। গত এক সপ্তাহ ধরে মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের আড়ৎ।

জেলে বশির, মোশারফ ও সোহেল বলেন, আগে সারাদিন জাল বেয়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকার ইলিশ পেতাম। এখন প্রতিবার মাছ শিকারে গিয়ে ৮–৯ হাজার টাকার ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

ভোলা সদরের তুলাতলী আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে ইলিশের কেনাবেচা চলছে। কেউ ইলিশের ওজন দিচ্ছেন, কেউ বরফ দিচ্ছেন, কেউ বা ঝুড়িতে সংরক্ষণ করছেন। জেলেদের আহরিত ইলিশ চলে যাচ্ছে ঢাকা ও বরিশালের বিভিন্ন আড়তে। এভাবে ইলিশ ধরা পড়লে সংকট দূর করতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।

জেলে শাহে আলম ও আবুল হোসেন বলেন, এভাবে ইলিশ ধরা অব্যাহত থাকলে অভিযানের আগেই গত সময়ের ধারদেনা পরিশোধ করা যাবে।

এদিকে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় আড়তে কেনাবেচা জমে উঠেছে। এতে আড়তদাররাও সন্তুষ্ট।

আড়তদার মঞ্জু বলেন, মৌসুমের শুরুতে না হলেও এবার ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে জেলেরাও খুশি, আমরাও খুশি।

কয়েকজন আড়ৎদার জানান, আগে তুলাতলী ঘাটে প্রতিদিন ১ লাখ টাকার ইলিশ কেনাবেচা হতো। এখন তা বেড়ে ১০-১৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

শুধু তুলাতলী নয়, জেলেদের অধিকাংশ আড়তে এখন ইলিশের কেনাবেচা জমজমাট। এতে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন ভোক্তারা।

নদীতে ইলিশ ধরা পড়ায় এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে মনে করছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভূঁইয়া বলেন, এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। জেলেদের জালে যেহেতু ইলিশ ধরা পড়ছে, আমরা আশাবাদী এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।