ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

তৃতীয় দিনের মতো নির্বাচন অফিস ঘেরাও চলছে, তাঁবু টানিয়ে নেতাকর্মীদের অবস্থান 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:১৮, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
তৃতীয় দিনের মতো নির্বাচন অফিস ঘেরাও চলছে, তাঁবু টানিয়ে নেতাকর্মীদের অবস্থান 

বাগেরহাট: বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে তৃতীয়  দিনের মতো জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে আসতে থাকে।

আসন্ন দুর্গাপূজার শেষ না হওয়া পর্যন্ত, হরতাল অবরোধের মতো না থাকলেও, নির্বাচন অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে৷ দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাদের।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, আজকে তৃতীয় দিনের মত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও এবং অবস্থান ধর্মঘট করেছি।  আমরা আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলাম। আদালত প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের রুল জারি করেছে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে অসহযোগ আন্দোলন করার ঘোষণা দেন এই নেতা।

এদিকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ ‍দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখারদাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।