বাগেরহাট: বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে সপ্তম দিনের মত বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয় ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে এসে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে।
এর পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলমান রয়েছে। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি থাকবে না। বিকেলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
এদিকে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে উচ্চ আদালতে এখন পর্যন্ত বাগেরহাটবাসীর পক্ষ থেকে তিনটি রিট করা হয়েছে। আদালত রিটকারীদের পক্ষে ১০ দিনের রুল জারি করেছেন।
সকাল থেকে এসব কর্মসূচিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কাজলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আকিসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গন মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন কমিশনের চুড়ান্ত সীমানার গেজেট অনুযায়ী বর্তমান আসনের সীমানা: বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। পূর্বের আসন সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
এমআরএম