ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

আ. লীগ নিয়ে নির্দেশনা এসএমপির বক্তব্য নয়: পুলিশ কমিশনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৩, অক্টোবর ১, ২০২৫
আ. লীগ নিয়ে নির্দেশনা এসএমপির বক্তব্য নয়: পুলিশ কমিশনার এসএমপি কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী

সিলেট: আওয়ামী লীগের প্রতিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া নির্দেশনাটি নিজেদের বক্তব্য নয় বলে দাবি করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।

বুধবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে এসএমপি কমিশনার কার্যালয়ে অপরাধ দমনে নগরবাসীর নিরাপত্তায় ‘জিনিয়া’ অ্যাপসের উদ্বোধনকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী।

সম্প্রতি সিলেট মহানগর এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারেন, মহানগরের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পুলিশ কমিশনারের দেওয়ার একটি নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। নির্দেশনাটিতে প্রতিদিন দু’জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই নির্দেশনা প্রসঙ্গে আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখানে যাগদান করার পর থেকে বলছি, আমরা একটা মানবিক পুলিশ চাই। আমাদের সব অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে নিরীহ কোনো ব্যক্তিকে হয়রানি না করা হয়।

জুলাই আগস্ট আন্দোলনে দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে অনেক অভিযোগ আসছে, হয়রানিমূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার। গতকাল থেকে আমরা যাচাই বাছাই করে তাদেরকে চার্জশিট দেওয়ার আগেই বাদ দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের এই কাজটা অব্যাহত থাকবে।

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আমি আমার নীতি পরিষ্কার করছি,  এসএমপিতে অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না। আমাদের আইনগত যে দায়িত্ব আছে, আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রেখে এ কাজগুলো করে যাব। আমাদের কাজ হচ্ছে জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এ শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কোনো ধরনের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ-এটা নীতিসিদ্ধ নয়। আমরা মানবাধিকারের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনার জন্য সব অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমার কথাটা বিভিন্ন গণমাধ্যমে কীভাবে আসছে জানি না। এগুলো আসলে আমাদের বক্তব্য নয়। এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জিনিয়া অ্যাপ’ ১৬ অক্টোবর থেকে চালু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় এটি মোগলবাজার থানায় চালু হবে। এরপর পুরো নগরে বিস্তৃত হবে এ অ্যাপের কার্যক্রম।

পুলিশ কমিশনার জানান, এ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে নগরের যে কোনো বাসিন্দা যেকোনো পুলিশ সহায়তা চাইতে পারবেন।

নগরে ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ কোনো কাজ করতে চাইলে সবসময়ই একটি পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানও চলমান আছে। এটি অবাহত থাকবে।

এনইউ/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।