ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস বিমা কোম্পানিগুলোর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস বিমা কোম্পানিগুলোর

ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে ২৬ বিমা কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৈঠকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলো।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।  

বৈঠক শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশন মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ২৬ বিমা কোম্পানির মধ্যে যেসব কোম্পানি আইপিওতে আবেদন করেছে বা আইপিও অনুমোদন পেয়েছে, তাদের প্রত্যেকে ইক্যুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে। বৈঠকে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্য যারা এখনো আবেদন করেনি, তাদের বিনিয়োগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদেরকে ইক্যুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগের মাধ্যমে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়।

তিনি বলেন, আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে তারা যদি কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়, সে বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলে সহযোগিতা করা হবে। আলোচনায় উঠে এসেছে ইপিএস পজিটিভ থাকলে আইপিওর জন্য আবেদন করতে পারবে।

বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে তাদের যে বিনিয়োগ আছে, তা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আইডিআরএর বিনিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন, আগামী কয়েকদিন বিনিয়োগ বাড়াবেন।

তিনি বলেন, কমিশন শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা বর্তমানে অব্যাহত আছে এবং আগামীতেও থাকবে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারের তারল্য কিছুটা বাড়বে। পাশাপাশি ব্যাংক এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডসহ মার্চেন্ট ব্যাংককে বিনিয়োগ বাড়াতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আশা করি, এর মাধ্যমে আগামীতে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারা ফিরে পাবে এবং তারল্য বাড়বে। একই সঙ্গে লেনদেনও বাড়বে।

বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিমা খাত গুরুত্বপূর্ণ খাত। অর্থনীতির উন্নয়নে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ভূমিকা আগামীতে আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে কমিশনের দিক থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন পড়লে এবং আইডিআরএর দিক থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন পড়লে, কমিশন থেকে আইডিআরএকে সহযোগিতার অনুরোধ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
এসএমএকে/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।