ঢাকা, শনিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বিদায়ী বছরে আস্থার সংকটে ভুগেছে পুঁজিবাজার

এসএমএ কালাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
বিদায়ী বছরে আস্থার সংকটে ভুগেছে পুঁজিবাজার

ঢাকা: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বছরের শুরু থেকেই দেশের অর্থনীতি চাপে পড়ে। এর প্রভাব দেশের পুঁজিবাজারেও দেখা দেয়।

এর সঙ্গে দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলোকে বাদ দিয়ে ‘ডামি’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনায় ক্ষমতায় এলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এতে করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। বিদেশি বিনিয়োগ কমতে থাকে।  

এসব কারণে বছরের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দেয়। বিদেশে অর্থ পাচার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট এবং দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতা পুঁজিবাজারকে আরও তলানিতে ঠেলে দেয়। ফলে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিকভাবে সূচকের পতনের সঙ্গে বাজার মূলধনও কমে যায়। ফ্লোর প্রাইস, তারল্য সংকট ও ফোর্স সেলে পড়ে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হন। তাই বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে সূচক, মূলধন ও পুঁজি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের উৎকণ্ঠা বাড়ে।

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতে পুনর্গঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) কঠোর অবস্থান নিলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি। ফলে পুঁজিবাজারের বছরজুড়েই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট বিরাজ করে।

পতনমুখী বাজারে গত ১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে খ্যাত অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দ্বিতীয় মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১০ আগস্ট তিনি বাধ্য হয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।  

চলতি বছরের ১৮ আগস্ট বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে দায়িত্ব দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়। দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে চার মাস অতিবাহিত হলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট দূর হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যেমন ছিল ২০২৪ সালের বাজারচিত্র— 

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) 
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছিল ছয় হাজার ২৪৬ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। ৩০ ডিসেম্বর ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করে পাঁচ হাজার ২১৬ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে এক হাজার ৩০ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

ডিএসই-৩০ সূচক (ডিএস ৩০) 
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ডিএসইর ডিএস-৩০ সূচক ছিল দুই হাজার ৯৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। আর চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর ডিএস-৩০ সূচক কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৯৩৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৫৪ দশমিক ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস)
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস সূচক ছিল এক হাজার ৩৬১ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর ডিএসইএস সূচক অবস্থান করছে এক হাজার ১৬৮ দশমিক ৯০ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএস সূচক কমেছে ১৯৩ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।

বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ এক হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা
চলতি বছর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে চারটি এবং কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া দুটি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করেছে। সেই হিসাবে ২০২৪ সালে পুঁজিবাজার থেকে মোট এক হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে।  

বাজার মূলধন
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকায়। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ ১৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।

সিএসই
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ছিল ১৮ হাজার ৫২০ পয়েন্টে। ৩০ ডিসেম্বর তা কমে ১৪ হাজার ৪৭১ পয়েন্টে অবস্থান করে। এক বছরে সিএসই সূচক কমেছে ৪ হাজার ৪৯ পয়েন্ট। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সিএসইর লেনদেন প্রায় ১৬ কোটি টাকা হলেও বছরের শেষ দিন তা চার কোটির ঘরে নেমে আসে।  

সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজারে গত কয়েক বছরের মধ্যে চলতি বছর সূচকের সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে। ২০১০ সালের চেয়েও চলতি বছরে বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাজার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ অবস্থায় যায়, কোনো কোনো শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকার নিচে নেমে আসে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান।  

তারা বলছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে টানা দরপতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত পুঁজি ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া খন্দকার রাশেদ মাকসুদও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারেননি।

পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করা, আস্থা ফেরানো চ্যালেঞ্জ
গত ১৯ আগস্ট বিএসইসিতে যোগদানের দিন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করা ও আস্থা ফেরানো আমাদের প্রধান কাজ। পুঁজিবাজারকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। গত এক দশকে পুঁজিবাজারে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসইসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ জরিমানা, অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজারে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে গত চার মাসে কমিশন বিভিন্ন সময়ে ১২টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭২২ কোটি টাকা জরিমানা করে, যা বিএসইসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং হারানো আস্থা ফেরাতে গত ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি পুঁজিবাজারের বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করেছে।

পুঁজিবাজার সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠন
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ৭ অক্টোবর একটি বিশেষ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এ টাস্ক ফোর্স সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত বিবেচনা করে যৌক্তিক সময়ে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন (বিদ্যমান কাঠামো পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রস্তাব, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের সুপারিশ দেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়াদি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
গত ১৯ অক্টোবর বড় দরপতনের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার নিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে অবাধ লুটতরাজ হয়েছে। এ সময়ে অসংখ্য দুর্বল ও অস্তিত্বহীন কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। লাগামহীন কারসাজির মাধ্যমে দুর্বল মৌলভিত্তি ও জাঙ্ক কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।  

এ ছাড়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ, সার্কিট ব্রেকারের সীমা পরিবর্তনসহ নানা ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাজারের প্রকৃত অবস্থা ঢেকে রাখা হয়েছিল। এখন কৃত্রিম চেষ্টা না থাকায় অনিয়ম, কারসাজির অনিবার্য পরিণতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এ অবস্থা থেকে বাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো, সুশাসন নিশ্চিতে বিএসইসি ও সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

পুনর্গঠিত বিএসইসির গুরুত্বপূর্ণ নানা পদক্ষেপ
চলতি বছরে পুনর্গঠিত বিএসইসির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে— ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যানসহ সব স্বতন্ত্র পরিচালককে পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করা এবং ডিএসই ও সিএসইর কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পৃথক দুটি পরিদর্শন কমিটি গঠন।  

আরও পদক্ষেপের মধ্যে ছিল, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বেনিফিসিয়াল ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও অ্যকাউন্ট) জব্দ করা, মাল্টি সিকিউরিটিজের সব সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা। দেশের পুঁজিবাজারের বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান দুই কর্ণধার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও হাসান তাহের ইমামের বিও অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা।

আরও ছিল, বিএসইসির দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের শুভেচ্ছা দূত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নিয়োগ বাতিল, শেয়ারের দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা (ফ্লোর প্রাইস) প্রত্যাহার, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সঙ্গে বিএসইসির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব বাতিল, শেয়ার দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে পুরোনো সার্কিট ব্রেকার পুনর্বহাল করা।

সাবেক কয়েকজন মন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ করে কমিশন।

একই সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

কী বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির আইপিও, কিউআইও ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আর এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উল্লেখযোগ্য কোনো কোম্পানি আইপিও বা কিউআইওতে আসেনি। বরং অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পুঁজিবাজার থেকে আশঙ্কাজনক হারে মূলধন সংগ্রহ কমেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে গভীরতা বাড়াতে নতুন নতুন ভালো কোম্পানি আনতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা নিজের ইচ্ছেমতো ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন। ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে পুঁজিবাজারের ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে এবং গভীরতা আরও বাড়বে।

অন্যদিকে একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথ পরিক্রমায় পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করে বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে আস্থাহীন বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিশনের অগ্রণী ভূমিকা বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার বান্ধব করবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৫
এসএমএকে/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।