ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) গত ৫ মার্চ ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন এজেন্সি অবগত আছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৫ মার্চ সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগের দাবি করেন তারা। পরে সেনা সদস্যরা এসে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, বিএসইসির ইতিহাসের একটি ক্রান্তিলগ্নে আজকের সভায় বিএসইসির সকলে একত্রিত হয়েছে। গত ৫ মার্চ সংঘটিত ঘটনাকে চরম অনভিপ্রেত। কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মচারীর প্ররোচনায়, ইন্ধনে এবং অংশগ্রহণে তা সংঘটিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনা প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের পাশাপাশি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ বলেও মন্তব্য করেন রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেন, এ ঘটনা আমাদের পুঁজিবাজারের জন্য মারাত্মক। যা দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ধরণের ন্যক্কারজনক ঘটনা সারা পৃথিবীতে কোনো রেগুলেটরি সংস্থায় এই প্রথম। এটি জাতীয় জীবনে চরম দুঃখজনক অধ্যায়।
এ ঘটনায় বিএসইসির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সম্পৃক্ত নয় এবং অংশগ্রহণকারী অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাতে যুক্ত হননি- এমনটাই কমিশন বিশ্বাস করে বলে জানান তিনি। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে উল্লেখ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।
জাতীয় স্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি সংস্থা এভাবে চলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন। যারা নিষ্ঠা-সততা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা বিএসইসির ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আগামীতে সবার সহযোগিতায় বিএসইসি তার কার্যক্রম গতিশীলতার সঙ্গে চালিয়ে যাবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ ও সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০,২০২৫
এসএমএকে/এমএমইউ/এমজে