ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

ঘরের মাঠে নিজেদের এগিয়ে রাখলেন তামিম

আবদুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৩
ঘরের মাঠে নিজেদের এগিয়ে রাখলেন তামিম ছবি: সোহেল সরওয়ার/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ঘরের মাঠে নিজেদের এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের হার্টথ্রব সুপার-স্টার তামিম ইকবাল। বললেন, ‘কোন চাপ নেই।

দেশের মাঠ। উইকেট আমাদের পক্ষেই থাকবে। ’
 
বাংলাদেশ দলের ড্যাশিং এ ওপেনার বাম হাতে প্রতিপক্ষকে ‘খুন’ করতে একটুও দ্বিধা করেন না। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর খেলে ফেলেছেন ১২২টি ওয়ানডে। নামের পাশে জমা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৯ রান। ২৮টি টেস্ট খেলে করেছেন ২০১০ রান। এবার  ঘরের মাঠ এবং নিজের জন্মভূমিতে এ পরিসংখ্যান আরো ভারী করতে চান।

সোমবার দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামার আগে তামিম ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৮ সালের সিরিজে আমরা তাদের সঙ্গে এই ‍মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছিলাম। তাদের দূর্বলতা আমাদের জানা আছে। বোলিংয়ের পাশাপাশি ভালো ব্যাটিংও করতে হবে তাহলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে। জয়ের জন্য ৫০০-৫৫০ রান করতে হবে। ’

বাংলাদেশ দলের সাবেক এ সহ অধিনায়ক বলেন, ‘বৃষ্টির পর রোদের দেখা মিলেছে। এতদিন উইকেট চাদরে ঢাকা ছিল। এখন রোদে নতুন উইকেট একেকদিন একেক রুপ ধারণ করবে। তবুও দেশের উইকেট। আশা করছি আমাদের পক্ষে হবে। স্পিনিং ‌উইকেট হবে। ’

দেশের এ হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান বলেন, সম্প্রতি ওরা ভালো খেলছে, কঠোর পরিশ্রমও করছে। তবে আমরাও সম্প্রতি ভালো করছি। সবাই মিলে মাঠে নিজেদের মতো ভালো করতে পারলে জয় সম্ভব। ’

তিনি বলেন, ‘কোন ধরনের চাপ নেই। সারা দেশই আমাদের। দর্শক আমাদের। আশা করছি বেশি দর্শক হবে। দর্শকরা আমাদের অনুপ্রেরণা। ’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিনের পাশাপাশি ফাস্ট বোলাররাও ভালো করবে জানিয়ে তামিম বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড দলে ভেট্টরি নেই এটা আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। তাদের পুরো দলকে মোকাবেলায় আমাদের তিনজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার রয়েছে। ’

২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে মাঠে একদিনের খেলায় বাংলাদেশ দলের এ ওপেনারের অভিষেক হয়। সে ম্যাচে রান করেন ৫। তার পরের বছরই টেষ্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়। নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে ওভালের মাঠে প্রথম ইনিংসে ৫৩ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৪ রান করেন। ২০১০ সালে ১৩ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে তামিম ১২০ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন।

বাংলাদেশী প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাত্র ১৯ টি ইনিংস খেলে ১০০০ রানেরে মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সেবছরই ইংল্যান্ডের মাটিতে দুই টেস্টেই শতকের কারণে তামিম ক্রিকেটের বাইবেল বলে পরিচিত ‘উইজডেন’ এ বছরের সেরা টেস্ট খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

২০০৯ সালে সাকিবের পর তামিম দ্বিতীয় বারের মতো কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে দুর্লভ এ সম্মান অর্জন করেন। ২৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারকে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ওপেনার হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ঘন্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৩
এএএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।