ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পদ্মা সিমেন্টে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ৩.৩৭ টাকা ফেরত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৪
পদ্মা সিমেন্টে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ৩.৩৭ টাকা ফেরত

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে তালিকাচ্যুত পদ্মা সিমেন্ট কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা অবশেষে শেয়ার প্রতি ৩ দশমিক ৩৭ টাকা করে ফেরত পেলেন। কোম্পানির ফেসভ্যালু ছিল ১০ টাকা এবং লেনদেন হয় সর্বোচ্চ ৪০ টাকা।


 
বৃহস্পতিবার এ কোম্পানির কয়েকজন শেয়ারহোল্ডার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
শামীম মজুমদার নামে এক বিনিয়োগকারী বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। যেখানে লেখা ছিল আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার ৩৭ টাকা ক্রেডিট হয়েছে। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না কিসের টাকা যোগ হলো। পরে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখি পদ্মা সিমেন্টের টাকা যোগ হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সিমেন্ট কোম্পানির মোট এক হাজার শেয়ার কেনা ছিল আমার। তখন এ কোম্পানির শেয়ার মূল্য ছিল ২৭ টাকা। সে সময় এক হাজার শেয়ারের দাম পড়েছিল ২৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ কোম্পানির শেয়ারে আমার লোকসান হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার টাকা।
 
২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পদ্মা সিমেন্টকে তালিকাচ্যুত করা হয়।
 
একই বছরের ১২ মার্চ পদ্মা সিমেন্ট কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীদের ২১ মার্চের মধ্যে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়।
 
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারধারীদের পাওনা-সংক্রান্ত তথ্য যথাযথ কাগজপত্রসহ অফিশিয়াল লিকুইডেটর মোকছেদুল ইসলামের কাছে ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়। লিকুইডেটর জমা পড়া কাগজ কোর্টের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে হাইকোর্ট বিষয়টি সমাধান করলেন।
 
জানা যায়, ২০০৯ সালের কোম্পানি আইনের ১৩৩ ধারা মোতাবেক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) বাজারের পদ্মা সিমেন্টের অবলুপ্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।
 
পদ্মা সিমেন্ট কোম্পানির কিছু অসাধু পরিচালক ২০০২ সালে লোকসানি কোম্পানিটিকে লাভজনক দেখিয়ে আইপিও’র মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে শেয়ার বিক্রি করে। আবার ২০০৯ ও ২০১০ সালে চাঙা বাজারের সুযোগে উদ্যোক্তাদের হাতে থাকা প্রায় সব শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চ দামে বিক্রি করে বাজার থেকে ছিটকে পরে।
 
সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী কোম্পানির পরিচালকদের কাছে মাত্র ০ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর ৯৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার ছিল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।