ঢাকা: টানা চতুর্থ দিনের মতো মূল্যসূচকের পতন ঘটেছে পুঁজিবাজারে। এতে গত বছরের ২১ জুলাইয়ের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ফের ৪ হাজার ৩শ’ পয়েন্টের ঘরে নেমে এসেছে।
সোমবারের (০৬ এপ্রিল) লেনদেন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই’র ডিএসইএক্স সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৯৭ পয়েন্টে।
বাজার পর্যালোচনা দেখা যায়, ২০১৪ সালের ২১ জুলাই ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজার ৩শ’ পয়েন্টের ঘরে নেমে যায়। ওইদিন সূচক ছিল ৪ হাজার ৩৯৪ পয়েন্ট। এরপর সূচক আর ৪ হাজার ৩শ’ পয়েন্টের ঘরে নামেনি।
সোমবার সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৩০৫ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ১৪৮ টাকা। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা কম।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ২২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
লেনদেনের ভিত্তিতে টাকার অঙ্কে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, শাশা ডেনিমস, ইফাদ অটোস, এসিআই, এমজেএল বিডি, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, কেপিসিএল ও ফার্মা এইড।
দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বিডি ল্যাম্পস, ইফাদ অটোস, প্রাইম ব্যাংক, মুন্নু সিরামিকস, মুন্নু স্ট্যাফলার্স, এমএইচ স্পিনিং মিলস, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি ৩য় এনআরবি, তুং হাই ও এসআইবিএল।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- দুলামিয়া কটন, কনফিডেন্স সিমেন্ট, স্যালভো কেমিক্যাল, বিডি ওয়েল্ডিং, জাহিন স্পিনিং, আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, এফএএস ফাইন্যান্স, বিচ হ্যাচারি ও খান ব্রাদার্স পিপি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইএক্স সূচক ৭৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে। দিনশেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
এএসএস/জেডএস