ঢাকা: আমান ফিড লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে(আইপিও) শেয়ার বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২৫ মে (সোমবার) থেকে, চলবে ৪ জুন পর্যন্ত। আর এ আবেদন করা যাবে শুধুমাত্র ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমেই।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে কোম্পানিটি ২ কোটি শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে মোট ৭২ কোটি টাকা উত্তোলন করতে যাচ্ছে আমান ফিড।
আমান ফিড লিমিটেডের প্রতিটি সাধারণ শেয়ার ৩৬ টাকায়(২৬ টাকা প্রিমিয়ামসহ)ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিওর ক্ষেত্রে লট ধরা হয়েছে ২০০ শেয়ারে।
আইপিওর অর্থ ব্যবসা সম্প্রসারণ, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করা হবে বলছে কোম্পানিটি।
২০১৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমান ফিডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস)৪ টাকা ৯৭ পয়সা। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য(এনএভি)৩০ টাকা ৭৭ পয়সা। ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা, আইপিও পূর্ববর্তী পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। আইপিওর পর এর পরিশোধিত মূলধন প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৮০ কোটিতে উন্নীত হবে।
আমান ফিড প্রধানত পোল্ট্রি শিল্পের খাদ্য-পণ্য উৎপাদন করে। এরমধ্যে রয়েছে ব্রয়লার এবং লেয়ার চিকেনের খাবার। এছাড়াও মাছের খাবার, চিংড়ি মাছের খাবার এবং গবাদী পশুর খাবার উৎপাদন করে থাকে কোম্পানিটি।
এসব খাদ্য-পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমান ফিড আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে। মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোম্পানিটি এরইমধ্যে আইএসও সনদ (ISO 9001:2008) ও এইচএসিসিপি (Hazard Analysis and Critical Control Point) সনদ প্রাপ্ত হয়েছে।
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৬ সালের জুলাই থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসে কোম্পানিটি। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অবস্থিত কারখানা থেকে প্রতি মাসে ৬ হাজার টন ফিড প্রস্তুত করতে সক্ষম কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এনএস