ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারে আর ধস হবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
পুঁজিবাজারে আর ধস হবে না

পুঁজিবাজারে আর ধস নামার সুযোগ নেই বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএবি) নির্বাচিত পরিচালক শরিফ আনোয়ার হোসেন (দিলীপ)।

ঢাকা: পুঁজিবাজারে আর ধস নামার সুযোগ নেই বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএবি) নির্বাচিত পরিচালক শরিফ আনোয়ার হোসেন (দিলীপ)।
 
গত ২০ নভেম্বর নির্বাচনে ২০৩ ভোট পেয়ে ১৫ জনের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন এম শহিদুল্লাহ সিকিউরিটেজ লিমিটেডের এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক।


 
সম্প্রতি মতিঝিলে ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা’ নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।   
শরিফ আনোয়ার বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে যেভাবে কারসাজি হয়েছিল, আইন-কানুন তৈরি করে সেই সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
 
তিনি জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার নেওয়া হয়েছে। এই সফটওয়্যারে কোন ব্রোকারেজ হাউজ, কোম্পানি কিংবা কোন বিনিয়োগকারীর কে, কোন শেয়ার কিনছে- বাজারে সিরিয়াল ট্রেড হচ্ছে কিনা- এসবের প্রমাণ তাতে রয়েছে।
 
আলাপচারিতায় তিনি বলেন, পুঁজিবাজার সর্ম্পকে ধারণা না থাকা বিনিয়োগকারীদের ফিনান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগামের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে পুঁজিবাজার ও এর ঝুঁকি সর্ম্পকে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে একটি অধ্যায় রাখা হচ্ছে। ফলে আগামীতে শেয়ারবাজারের ঝুঁকি কমে আসবে।
 
তার মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পুঁজিবাজারবান্ধব হয়েছে। ফলে ২০১০ সালের কায়দায় নতুন করে পুঁজিবাজারে ধস হওয়ার সুযোগ নেই।

বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য পাচার হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের এমন অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, তথ্য পাচারের ফলে বিশেষ একটি চক্র সুবিধা নিচ্ছে। চক্রটি সিডিবিএ‍ল থেকে তথ্য পাচার করছে। সিডিবিএলসহ অন্য কোনো মাধ্যমে যেন তথ্য পাচার না হয়, সেজন্য বিএসইসির কাছে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কমিশনও ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।
 
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ‘বাজার স্থিতিশীল ফান্ড’ গঠনসহ সরকারি ও বহুজাতিক নামকরা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
 
একইসঙ্গে ‘স্মল ক্যাপ’ অর্থাৎ ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকা অল্প পুঁজির কোম্পানির পুঁজিবাজারে আসার নিয়মনীতি কঠোর এবং শক্তিশালী করতে হবে বলে মত দেন তিনি। যাতে নতুন উদ্যোক্তা সেজে ৫-১০ কোটি টাকা নিয়ে বাজার থেকে কেউ পালিয়ে হয়ে না যায়।
 
তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধের জন্য নয়, উদ্যোক্তারা যাতে শুধু ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্যই টাকা তুলতে পারেন, এজন্য শক্তিশালী ও মজবুত নীতিমালার প্রণয়ণ করে বাজারে নজরদারি করতে হবে।
 
পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত নিয়ে তিনি বলেন, লেনদেন আরো বাড়বে। বাজারও ভাল থাকবে। কারণ, আইপিওতে নতুন কোম্পানি আসছে। পাশাপাশি নির্বাচনের মাধ্যমে ডিবিএ’র নতুন কমিটির সদস্য হওয়ায় মানুষের মধ্যে অাস্থা বাড়ছে।
 
ধসের পর থেকে লোকসানে থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়ে শরিফ আনোয়ার হোসেন দিলীপ বলেন, ব্রোকারেজ লেনদেনের কমিশনের উপর এআইটি কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি লেনদেন বাড়াতে ডিএসই, সিএসই এবং বিএসইসিসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কাজ করবে ডিবিএ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এমএফ‍আই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।