এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিজস্ব ভবন এবং দেশব্যাপী ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন। এ সময় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের হুজুগে বিনিয়োগ না করার আহ্বান জানান।
এদিন লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। দিনশেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৪ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ৫৯ পয়েন্টে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্থানের পর পতন পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। তবে বুঝে শুনে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তারা।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ডিএসইতে ৩২ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৯টি সিকিউরিটিজের হাত বদল হয়েছে। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি ১২ লাখ ২ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২০৯ কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
এদিন তিন সূচকের পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে। পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৩.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ২১১টির এবং আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৫৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৫৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭৩ কোটি ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬৪ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭৩ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৪ টাকা। তারও আগের দিন লেনদেন হয় ৮৩ কোটি ৯০ লাখ ২১ হাজার ৩৫৪ টাকা।
লেনদেন হওয়া ২৬৩টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৪৩টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস