সূত্র মতে, চলতি বছরের ১০ অক্টোবর এই কোম্পানির শেয়ার দাম ছিলো ১৬১ দশমিক ৮ পয়সা। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে গত মাসের ২১ নভেম্বর, শেয়াটির দাম ছিলো ১৮৯ দশমিক ২০পয়সা।
ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, পুঁজিবাজারে গুজব রয়েছে, কারখানার পুরোদমে উৎপাদনে গেছে। উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। এই গুজবে কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাদের কাছে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য জানা নেই।
১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংস্কার কাজ চলছে। কারখানার যে অংশে যখন নতুন যন্ত্রাংশ সংযোজন ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে, সে অংশ বন্ধ থাকছে। ফলে দিনে ৬০ টন সালফিউরিক এসিড ও অ্যালুমিনিয়াম সালফেট (ফিটকিরি) উৎপাদন সক্ষমতার এ প্রতিষ্ঠানটির এখন দৈনিক উৎপাদন ১৫ থেকে ২০ টনে নেমেছে।
ওয়াটা কেমিক্যালের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবু তাহের জানান, সংস্কার কাজের কারণে গত তিন-চার মাস ধরে উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। মূলত কোম্পানির পরিচালন ব্যয় ও শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি খরচ জোগানের জন্যই বিএমআরই (সংস্কার) করার সময়ও কিছু সময় উৎপাদন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে কোম্পানি আবারও পুরোদমে উৎপাদনে যাবে।
শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেয়ারের দাম বাড়ার মতো কোনো ঘটনা কোম্পানিতে নেই। নানা ধরনের গুজব রটিয়ে কোনো স্বার্থাণেষী মহল দাম বাড়াচ্ছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। কারণ, উৎপাদন কমে যাওয়ায় যখন কোম্পানির লভ্যাংশ কমার কথা, তখন এভাবে দাম বাড়া অযৌক্তিক। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উচিত যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ