ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

দেড় মাসের মধ্যে চীনা কনসোর্টিয়াম প্রস্তাব পাঠাবে ডিএসই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
দেড় মাসের মধ্যে চীনা কনসোর্টিয়াম প্রস্তাব পাঠাবে ডিএসই

ঢাকা: এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চীনা কনসোর্টিয়ামের (শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ) সংশোধিত প্রস্তাব পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সব শর্তগুলো পূরণ করে আবারও প্রস্তাবনা আকারে পাঠাবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

শর্তগুলো হচ্ছে- কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে এমন কোনো চুক্তি করা হবে না। যা দেশের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং ডিএসইর সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নের পরিপন্থী নয়।

প্রস্তাবনায় ডিএসইর আর্টিকেল ও মেমোরেন্ডাম পরিপন্থী কোনো কিছু থাকবে না।

শুধু তাই নয়, চীনা কনসোর্টিয়ামের এই প্রস্তাবটি বিএসইসিতে পাঠানোর আগে ডিএসইর সব শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়া হবে। এ ছাড়াও ডিএসইর সাধারণ সভায় বিএসইসির পর্যালোচনা কমিটির পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যাহারের শর্ত এবং সাধারণ সভায় গৃহিত প্রস্তাব এমনকি সংশোধিত চুক্তি ও অন্যান্য ডকুমেন্টস কমিশনে জমা দিবে ডিএসই। এই শর্তগুলো পূরণ করেই ত্রুটিহীন একটি প্রতিবেদন আগামী এক-থেকে দেড় মাসের মধ্যে কমিশনে দিবে ডিএসই।

তার কারণ সব শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি অনুমোদন করতে হলে অন্তত ২১ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। এরপর সভায় অনুমোদন হবে। পাশাপাশি অন্যান্য শর্তগুলো পূরণ করতে এই সময় লাগতে পারে বলে জানান ডিএসই’র একাধিক পরিচালক।

তারা বাংলানিউজকে বলেন, কমিশন চায় আমাদের সব ধরনের স্বার্থ সুরক্ষা করে দেশীয় নিয়মের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের উন্নতি। এটা আমাদের জন্য পজেটিভ। তারা বলছেন, যে কমিশন ভারতের কনসোর্টিয়ামকে ডিএসইর অংশীদারিত্বে আনতে চাপ দিয়েছে। সেই কমিশন এখন নরম হয়ে দেশ ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রস্তাব করেছে, এটা পজেটিভ।

এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চীনা কনসোর্টিয়ামের সংশোধিত প্রস্তাব ঠিক-ঠাক করে দ্রুত কমিশনে পাঠানো হবে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বেছে নেয় ডিএসই।  

এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে চীনের কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদনের জন্য ডিএসইর সেক্রেটারি আসাদুর রহমান বিএসইসিতে প্রস্তাব জমা দেয়। এর আলোকে ওইদিনে প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে আহ্বায়কও নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের কমিটি করে বিএসইসি।

ডিএসইর প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ে বিএসইসির পর্যালোচনা কমিটি চীনা কনসোর্টিয়ামের কিছু শর্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসইকে লিখিতভাবে জানায় বিএসইসি। এরই আলোকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ৪ মার্চ ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে সেই ব্যাখ্যায় বিএসইসি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারপরও মৌখিকভাবে ডিএসইর কাছে বেশ কিছু কাগজপত্র চায় কমিশন। তারপর কমিটি পর্যালোচনা করে প্রস্তাবনায় বেশ কিছু ত্রুটি ও আইন পরিপন্থী বিষয় খুঁজে পায়। আর কমিটির এই পর্যলোচনার সুপারিশের ভিত্তিতে গত সোমবার কমিশন জরুরি সভায় বসে। এরপর কমিশন ডিএসইকে চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব সংশোধনের মাধ্যমে কমিশনে জমা দিতে বলে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।