তবে বিমা খাতের বেশির ভাগ শেয়ার বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতসহ বেশির ভাগ খাতের মিশ্রপ্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। ফলে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
রোববারে মতোই সোমবার (২১ জানুয়ারি) সূচক বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে ডিএসইতে দিনের লেনদেন শুরু হয়ে চলে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচকের ওঠানামা যা অব্যাহত ছিলো দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তাবে তারপর শেয়ার বিক্রির চাপ আরো বাড়ায় দিনের বাকি সময় লেনদেন হয় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায়।
দিন শেষে ডিএসইতে সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। সিএসইতে কমেছে ৯১ পয়েন্ট। এর ফলে রোববার উত্থানের পর সোমবার পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। তবে তার আগে বুধ (১৬ জানুয়ারি)ও বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) টানা দু’দিন দরপতন হয়েছিলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার বাজারে ২৪ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২৭১টি শেয়ারের হাত বদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৮৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৯৬৮ কোটি ৯১ লাখ ২৬ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকার। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৫৯ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এছাড়া অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স ইনডেক্স ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ ইনডেক্স ৮ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ২১ পয়েন্টে।
একইদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
এদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক ৯১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ১৫২ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫১ কোটি ৫৫ লাখ ৩ হাজার ২৮৭ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমএফআই/এসএইচ