রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘সরকারি মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোড’ করার বিষয়ে আলোচনা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাজার চাঙ্গা করতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ার জেন লি. (বিআরপিএল), একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) বাজারে আসছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানিগুলো টেকসই করতে হবে। প্রথমে প্রত্যেকটা কোম্পানির ব্যালেন্স শিট আমাদের অ্যাসেস করতে হবে। এখন থেকে ১০ বছর আগের অ্যাসেটের দাম, আর এখনকার দাম এক নয়। এখন কারেন্ট প্রাইসে এগুলো আমাদের রিভ্যালু করতে হবে। আমাদের সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে হবে। রিভ্যালু করতে যে সময় লাগবে সেই সময় কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে। আমার মনে হয় সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে দুই মাস সময় লাগবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা দুই মাস সময়ের মধ্যে সাতটি কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ অ্যাসেস করতে পারবো। যেটা নেট অ্যাসেট দাঁড়াবে সেটার ভিত্তিতেই শেয়ারগুলো ভ্যালুয়েশন হবে। এরপরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ধীরে ধীরে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এগুলোকে বাজারে নিয়ে আসবো।
মুস্তফা কামাল বলেন, সাতটি কোম্পানি প্রাইভেট সেক্টর থেকে কাজ করতে পারে। আইসিবি (ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) থেকেও তারা কাজ করতে পারে। আমরা তাড়াতাড়ি সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে চাই। এজন্য একটি নয় আমরা সাতটি ফার্মকে দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করবো। যাতে কাজটি তাড়াতাড়ি করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০/আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা
এমআইএস/জেডএস