ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭০৭ কোটি টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২০
পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭০৭ কোটি টাকা

ঢাকা: ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে বিশেষ ফান্ড গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করেছিল। এতে পুঁজিবাজার কিছুটা ভালো অবস্থানে গেলেও সূচকের পতনেই লেনদেন শেষ হয়েছে গত সপ্তাহের। এই পতনের কারণে গত সপ্তাহে (০১ থেকে ০৫ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে ৭০৭ কোটি টাকা।

শনিবার (০৭ মার্চ) ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৭ কোটি ছয় লাখ ১৬ টাকায়। অথচ আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছয় হাজার ২২৬ কোটি ১১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বা ১.৮১ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬৭৬ কোটি এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩১ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে।

সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত পতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬ শতাংশ লেনদেন কমেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুই হাজার ৪১০ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৬৭৬ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ টাকা বা ২১.৯২ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৮৭ কোটি ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৭ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৬১৭ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ৫৭১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৫ টাকা কম।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৫ পয়েন্ট বা ২.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৯ পয়েন্ট বা ২.৭৭ শতাংশ, ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট বা ২.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০১৫ ও ১৪৬২ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টি বা ২৭ শতাংশের, কমেছে ২৩৭টির বা ৬৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির বা ৭ শতাংশের।

সপ্তাহজুড়ে এ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন কমেছে। এই সময় এ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বা ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বি ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৪৫৪ কোটি এক লাখ টাকার বা ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এন ক্যাটাগরি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ২৯ লাখ টাকার বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বা শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- মুন্নু সিরামিক, ভিএফএস ডায়িং, জিবিবি পাওয়ার ফার কেমিক্যাল, লাফার্জহোলসিম, ওরিয়ন ইনফিউশন, অরিয়ন ফার্মা, সেন্ট্রাল হসপিটাল ও সিলভা ফার্মা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৯২ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৩ কোটি ৯৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৩ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪৫৯ টাকা বা ২৬ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩৯ পয়েন্ট বা ২.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ২০৯ পয়েন্ট বা ২.৫১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩৫৬ পয়েন্ট বা ২.৯৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৪ পয়েন্ট বা ২.৪৮ শতাংশ এবং সিএসআই ২৭ পয়েন্ট বা ২.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে আট হাজার ১২৪ পয়েন্ট, ১১ হাজার ৫৫৬ পয়েন্ট, ৯৫৩ পয়েন্ট এবং ৮৭৪ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির বা ২৫ শতাংশ, দর কমেছে ২০২টির বা ৬৭ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির বা ৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এসএমএকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।