ঢাকা: বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ মে-৩ জুন) সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারে সব সূচক বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৬৮৩ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ১১৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২ হাজার ৫৭৪ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৪ টাকা বা ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২৯৩ দশমিক ১৭ পয়েন্ট এবং ২ হাজার ২০৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২ হাজার ৭৪৩ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার টাকায়। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ছয় হাজার ২০৩ কোটি ৯৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ইফাদ অটোস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, এবি ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স।
বিদায়ী সপ্তাহে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৪ কোটি ১১ হাজার ৯৪৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬৯ হাজার ২০৯ টাকা বা ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৬.০৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৪৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭৭টির দর বেড়েছে, ১১৭টির কমেছে এবং ৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে বাজেট পরবর্তী বাজারের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে এবারের বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব হয়েছে। বাজারে গতি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তারা।
বাজেট বৃক্ততায় দেশের পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সার্বিক দিক বিবেচনায় এবারের প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব বলে মনে করছেন
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মো. শরীফ আনোয়ার হোসাইন।
তিনি বলেন, করোনাকালে এ ধরনের বাজেট ব্রোকারদের আশান্বিত করেছে। কারণ, কোম্পানিগুলোর আড়াই শতাংশ কর কমানো হয়েছে। এখন থেকে কোম্পানিগুলোর মুনাফায় আড়াই শতাংশ কর যুক্ত হবে। এতে শেয়ারহোল্ডারা বেনিফিটেড হবেন। শুধু তাই নয় তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব অত্যন্ত ভালো দিক। এতে কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২১
এসএমএকে/এএটি