পাবনা: ‘স্বামী মারা যাওয়ার পরে দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে দিন কাটে। ছোট একটি ছেলে রোজগার করে কোনোরকমে সংসার চালায়।
আমি এ বছর এই ছেলেদের কাছ থেকে নতুন শাড়ি পেলাম। তাই ঈদে নতুন শাড়ি পরব বলে ভালো লাগছে। যারা শাড়ি আমাকে দিল তাদের জন্য অনেক দোয়া করব। ’ এভাবেই বিধবা চামেলী খাতুন তার মনের কথাগুলো ব্যক্ত করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যদের কাছে।
নতুন কাপড় পেয়ে বৃদ্ধ জামেনা খাতুন বলেন, ‘বয়সের ভারে স্বামী আর কাজ করতে পারেন না। একমাত্র ছেলে তার নিজের সংসার চালাতেই হিমশিম খায়। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালাই। তাই নতুন কাপড়চোপড় আমাদের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার।
তবে এই ছেলেরা এ বছর নতুন শাড়ি দিয়েছে। অনেক খুশি লাগছে। ঈদে নতুন শাড়ি পরব। এই ছেলেরা এর আগেও আমাদের নানা কিছু দিয়ে সাহায্য করেছে। দোয়া করি এই ছেলেদের জন্য এবং যারা আমাদের এগুলো দেন তাদের জন্য।
’
সম্প্রতি চামেলি এবং জামেনাসহ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আরও সাতজন দুস্থ নারীকে ঈদের উপহার শাড়ি বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এসব শাড়ি বিতরণ করা হয়। এ সময় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক শাকিব খান, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহমেদ ও সহসভাপতি আব্দুল মালেক মধুসহ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক শাকিব খান বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত দুস্থ মানুষকে সহযোগিতা করেন। এ ক্ষেত্রেও প্রকৃত দুস্থ ৯ জন নারীকে সহযোগিতা করা হয়েছে। মানুষ ও সমাজের কল্যাণে বসুন্ধরা শুভসংঘের এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৫
এএটি