ক্ষমতায় আসার পরপরই আফগানিস্তানে নারীদের খেলধুলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তালেবান সরকার। কিছুদিন আগেই আরও এক সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
পরিচয় না দেওয়া কিছু আফগান নারী খেলায় অংশ নেওয়ার প্রতীকি ছবি প্রকাশ করে এপি। সেটাই প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
খেলার দায়ে হুমকিতে
এই তরুণ স্কেটবোর্ডার স্কেটিং করেন বোরকা পরে। নারী এবং মেয়েদের কেবল খেলাধুলাই নিষিদ্ধ করা হয়নি, তালেবান সরকার তাদের পার্ক এবং ব্যয়ামাগারে প্রবেশও নিষিদ্ধ করেছে। যেসব নারীরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন, তাদের ফোনে বা বাসা দিয়ে হুমকি দেয়া ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
বক্সিং থেকে নকআউট
তালেবান যখন কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়, সে সময়টির কথা মনে রেখেছেন ২০ বছর বয়সি নূরা। সেদিনই কাবুলের এক ক্রীড়া কমপ্লেক্সে একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছিলেন তিনি। দর্শকেরা যখন জানতে পারলো যে তালেবান সদস্যরা কাবুলের পাশে চলে এসেছে, নারী এবং মেয়েরা কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যায়৷ এটিই ছিল নূরার শেষ টুর্নামেন্ট।
পলাতক জীবন
নূরা একজন যোদ্ধা৷ কাবুলের একটি দরিদ্র্য এলাকায় বড় হওয়ার সুবাদে জীবনের প্রায় পুরোটাই তার কেটেছে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু তালেবান যখন তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দেয়া শুরু করলো, তখন তারা কাবুল থেকে পালিয়ে দূরের এক প্রদেশে পৈতৃক আবাসস্থলে আশ্রয় নেন৷ এপিকে তিনি বলেন, ‘তালেবান আসার পর থেকে আমার নিজেকে মৃত বলেই মনে হয় ৷’
কোণঠাসা নারীরা
ছবির নারী রেসারের মতো অনেক আফগান নারীই তালেবানের কৌশলগত বিচ্ছিন্নকরণের শিকারে পরিণত হয়েছেন৷ স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, জনসমক্ষে তাদের পুরো শরীর ঢেকে চলাফেরা করতে হয় এবং বাড়ির বাইরে কাজ করার সুযোগও একেবারেই সীমিত করে দেয়া হয়েছে।
গেম ওভার?
কাবুলের এই নারীরা এখন বাস্কেটবল খেলার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তালেবান সরকারের ন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা নারীদের খেলার জন্য নতুন স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির কথা চিন্তা করছে। কিন্তু নারীদের স্কুলে পড়াশোনার ব্যাপারেও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল তালেবান সরকার। সেই ঘোষণাও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি ৷
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এএইচএস