জুভেন্টাস ও যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের তরুণ তারকা ফুটবলার টিমোথি ওয়েহ জানিয়েছেন, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক ‘অদ্ভুত’ বৈঠকে তিনি বাধ্য হয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
বর্তমানে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে ইতালির এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব।
দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুরো দল ও কোচিং স্টাফকে নিয়ে যাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় হোয়াইট হাউসে। সেখানে ওভাল অফিসে ট্রাম্পের ডেস্কের পেছনে সারি বেঁধে দাঁড়াতে হয় খেলোয়াড়দের, সাংবাদিকদের সামনেই। এরপর শুরু হয় ট্রাম্পের একের পর এক প্রশ্ন।
বিশেষ করে নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডার অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প জানতে চান, ‘তোমাদের দলে কি কোনো নারী খেলতে পারে?’
এই প্রশ্নে মার্কিন মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককেনি পাশে থাকা ওয়েহর দিকে তাকিয়ে সহায়তা খোঁজেন। কিছুটা নীরবতা ও অস্বস্তির পর ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মানুয়েল লোকাতেল্লি হাসিমুখে বলেন, ‘হ্যাঁ। ’
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওয়েহ বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটাই আমার জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত। বলা হয়েছিল, আমাদের যেতেই হবে। আমি যেতে চাইনি, কিন্তু বিকল্প ছিল না। তাই গিয়ে দাঁড়ালাম। যখন উনি (ট্রাম্প) রাজনীতি আর ইরান নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন, তখন মনে হচ্ছিল, আমি তো শুধু ফুটবল খেলতেই এসেছি ভাই!’
ম্যাককেনি আগেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিলেন, বিশেষ করে ২০২০ সালের ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সময়। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না, ট্রাম্প একজন উপযুক্ত রাষ্ট্রপতি। তিনি দায়িত্ব বোঝেন না, জনগণকে সম্মান করেন না। আমি তাঁকে একটুও সমর্থন করি না। আমার চোখে তিনি একজন বর্ণবাদী। ’
২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্প ‘নারীদের খেলায় পুরুষ নয়’—এই অবস্থান সামনে রেখে ‘নারীদের খেলাধুলা থেকে পুরুষদের দূরে রাখার’ নির্বাহী আদেশে সই করেন। এতে বলা হয়, শুধু জন্মসূত্রে নারীরাই নারীদের ক্রীড়ায় অংশ নিতে পারবেন। সিদ্ধান্তটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
এমএইচএম