ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মাঠ কি পুরোপুরি প্রস্তুত?

ইয়াসির জিকো, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মাঠ কি পুরোপুরি প্রস্তুত? ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: 'যে কোন ধরনের খেলার জন্য একটি সুন্দর ও সমতল মাঠ আবশ্যক', কথাটি বলছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক মো: ইয়াহিয়া। এখন প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মতো একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য মাঠটি কি প্রস্তুত? এখনও নয়!

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গিয়ে কোন ভাবেই বুঝতে পারা গেল না, মাত্র পাঁচ দিন পরে এই মাঠেই বসবে ফুটবলের একটি আন্তর্জাতিক আসর।

এমনকি ফ্লাডলাইটগুলো মেরামত ও প্রতিস্থাপনের কাজ এখনও শুরু হয়নি।

৬ কোটি টাকার গোল্ডকাপের বাজেট একলাফে ১৫ কোটি হয়েছে! বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ উপলক্ষে ১২টি উপ-কমিটি হয়েছে। এরমধ্যে গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিস কমিটি ২৫ লক্ষ টাকার বাজেট পেয়েছে এ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে। কিন্তু এখনও মাঠের কাজ শতভাগ শেষ হয়নি। ফ্লাডলাইটগুলো মেরামত ও প্রতিস্থাপনের কাজও শুরু হয়নি।

তবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রশাসক মো: ইয়াহিয়া জানিয়েছেন, 'ফ্লাডলাইট মেরামত ও প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হবে দুই এক দিনের মধ্যে। আর মাঠের বর্তমান যে অবস্থা দেখছেন, তা গুছিয়ে নিতে পারব টুর্নামেন্টের শুরুর আগেই। কিন্তু মাঠের পরিচর্যার জন্য ঘাস কাটার একটি মাত্র মেশিন, তাও নষ্ট!'

তিনি আরো বলেন, 'মাঠটি ঠিক নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফুটবল মাঠগুলোতে যে স্ট্রেইপ থাকে, তা থাকবে না! একটি ঘাস কাটার মেশিন দিয়ে সম্ভব নয়। এমনকি মাঠ ঠিক করার জন্য নেই পর্যাপ্ত রোলার। তবে এতটুকু জানি, রোববার বা সোমবারের মধ্যে ফ্লাডলাইটের কাজ শুরু হবে। '

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিস কমিটির সভাপতি ফজলুল রহমান বাবুল বলেন, 'আমি আজ চাঁদপুর থেকে ফিরেই ঘাস কাটার মেশিন ঠিক করতে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। ফ্লাডলাইটের কাজ শুরু হবে কয়েকদিনের মধ্যেই। '

তিনি স্বীকার করে নিলেন তার সীমাবদ্ধতার কথাও, 'ঘাস লাগাচ্ছি, কিন্তু থাকছে না। স্বল্প সময়ের মধ্যেই কাজ করতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের লোকজন ঠিক মতো পানি দেয় না। তাহলে কি ভাবে হবে?'

এদিকে, মাঠ ব্যবস্থাপনায় খানিকটা এগিয়ে আছে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের কার্যক্রম। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে দুটি ঘাস কাটার মেশিন ও চারটি রোলার আছে। মাঠের বর্তমান অবস্থাও বেশ ভালো। গ্যালারি ও ফ্লাডলাইটের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।

সিলেট জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহিউদ্দিন সেলিম জানান, 'ফ্লাড লাইটে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ও অন্য সকল কাজের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের বাজেট সামনে রেখেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে। মাঠের বিদ্যুত সরবরাহ ঠিক রাখতে ট্রান্সফরমারটি মেরামত করা হয়েছে। আশা করছি রোববার থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ২৫ হাজার টিকেট ছাড়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের বাইরে আউটডোরে প্রজেক্টর দিয়ে খেলা দেখানো হবে। '

পাঠক এখন দেখার বিষয়, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগে মাঠে পর্যাপ্ত ঘাস গজিয়ে ওঠে কিনা!

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।