ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

পারবে কি বাংলাদেশ?

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫
পারবে কি বাংলাদেশ? ছবি: শোয়েব মিথুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সেই ১৯৯৯ সালে এসএ গেমসে স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ। এরপর ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আরেকটি স্বর্ণ জয়।

আর সর্বশেষ ২০১০ সালে এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের পরে দীর্ঘ ৫ বছর সফলতার মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। স্বর্ণ তো দূরের কথা দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ ফুটবলের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেছে গত দু'বার।

অনেকদিন পরে আরেকটি সুযোগ এসেছে বেঙ্গল টাইগার্সদের সামনে। ঘরের মাটিতে প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার যুবাদের কাছে হেরে ফিকে হয়ে আসে বাংলাদেশের স্বপ্ন। তবে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে দলটি।  

কিন্তু থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের পথটি অবশ্যই বন্ধুর নয় বাংলাদেশের জন্য। অনূর্ধ্ব-২৩ দল হলেও দলটি শক্তিমত্তা আর দ্রুতগতির ফুটবলের কাছে পরাস্ত বাহরাইন ও সিঙ্গাপুর। তাই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিটের তকমা গায়ে লেগে গেছে দলটির। এ ধরণের দলের বিপক্ষে সহজপাচ্য হয়ে যেতে পারে যে কোন দলই!       

ওদিকে টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপের দল বাংলাদেশ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে নাম লেখায় (২ খেলায় ১ জয় ও ১ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে)। সিলেটে প্রথম ম্যাচে তারা ০-১ গোলে ‘মালয় টাইগার্স’ খ্যাত মালয়েশিয়ার কাছে হারলেও ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে পরাজিত করে।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছে ১৪ ম্যাচে। জয়ের পাল্লাটা ঝুঁকে আছে থাইদের দিকেই। ১৪ ম্যাচের ৯টিতেই জয় থাইদের। বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ২ ম্যাচে। বাকি ৩ ম্যাচ ড্র হয়। ১১ গোলের বিপরীতে ২৯ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ!

এই ১৪ ম্যাচের মধ্যে ৬টি ম্যাচ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। যাতে বাংলাদেশ জিতেছে ২ আর থাইরা জিতেছে ৪ ম্যাচে। দু’দলের মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ হয়েছে ৫টি। এখানে বাংলাদেশ এখনও জয়শূন্য। থাইদের জয় ৩টিতে। বাকি ২ ম্যাচ ড্র। সর্বশেষ দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ২০১২ সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে। সে ম্যাচের ফল মোটেও সুখকর নয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। থাইদের কাছে ০-৫ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।

সত্যিই থাইরা বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে দ্রুতগতির ফুটবল খেলেছে থাইরা। বিশেষ করে ফ্রি কিক ও কর্নার কিকে তারা খুবই ভয়ঙ্কর। সেটা আমলে নিয়েই গত দু’দিন সেভাবেই বাংলাদেশ দলকে বিশেষভাবে অনুশীলন করিয়েছেন দলের হেড কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে গিয়ে অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা অনেক গতিতে খেলি। চেষ্টা করি পুরো ৯০ মিনিট একই ধরণের অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে। যেটা প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছি। প্রথম ১০-১৫ মিনিট আর মাঝের কিছুটা সময় তারা সমস্যা করে। কারণ তারাও অ্যাটাকিং ফুটবল খেলে। ’

তবে, থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের কৌশলগত পরিবর্তন আসতে পারে বলে আভাস দেন মামুনুল। তিনি বলেন, ‘আমরা আগের দুই ম্যাচে ছোট ছোট পাসে খেলেছি। তাতে হয়তো কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। আর থাইল্যান্ডের দূরপাল্লার ফ্রি কিক রুখে দিতে কোচ বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ’

এখন দেখার বিষয় মিশন ফাইনালে কতটা সফল হবে বাংলাদেশ দল। কে মাঠ ছাড়বে হাসি মুখে? ‘বেঙ্গল টাইগার্স’ খ্যাত স্বাগতিক বাংলাদেশ নাকি ‘দ্য ওয়ার এলিফ্যান্টস’ খ্যাত থাইল্যান্ড। শুক্রবার দ্বৈরথটা শুরু হবে বিকেল ৫টায়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।