ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

এই ফলাফলে আমি অসম্ভব খুশি: ক্রুইফ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫
এই ফলাফলে আমি অসম্ভব খুশি: ক্রুইফ ছবি: শোয়েব মিথুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘এই ফলাফলে আমি অসম্ভব খুশি। চাপ ছিল।

তা অস্বীকার করা যাবে না। সেটাকে জয় করে এখন আমরা ফাইনালে। তাই চাপ আরও বেড়েছে। তবে আজকের ম্যাচে ছেলেরা অনেক ভাল ফুটবল খেলেছে। আমাদের ট্যাকটিক্যাল পরিকল্পনা শতভাগ সফল হয়েছে। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম, তেমনটাই। ’ কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে থাইল্যান্ড বধের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই কথাগুলো বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, 'থাইল্যান্ড ভালো দল। তারা বেশ গোছানো দল। এ ম্যাচে তারা ভালো খেলেছে। তবে আমার ছেলেরা আজ অনেক ভালো খেলেছে। ’

প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে বিশ্রামে যাবার পর শিষ্যদের প্রতি কি নির্দেশনা ছিলো আপনার (ক্রুইফ)? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন,‘এক গোল পাবার পর আমি আশা করি দ্বিতীয় গোল। দ্বিতীয় গোলের পর তৃতীয় গোল আশা করি। কোচ হিসেবে এটিই আজকের ম্যাচেও ছেলেদের প্রতি আমার মেসেজ ছিলো। এক গোল করেছো, দ্বিতীয় গোলের জন্য লড়াই করো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিট পর আমি ডিফেন্সিভ খেলতে নির্দেশ দেই। ছেলেরা আজ শতভাগ পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগিয়েছে। ফলে আমরা সফলতা পেয়েছি। ’

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই প্রথম ম্যাচের 'ঘাতক' মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল। কোচ কি ভাবছেন ওদের নিয়ে? ক্রুইফ জানালেন, 'আমরা এক দিন সময় পেয়েছি। কিন্তু মালয়েশিয়া দুই দিন পেল নিজেদের প্রস্তুত করতে। এর মধ্যেই মানসিক ও শারীরিক ভাবে আমার দলটিকে প্রস্তুত করতে হবে। থাইল্যান্ডকে হারিয়েছি, এখন মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হতে তেমন বেগ পেতে হবে না। ' 

প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবার পর তার মিশন ছিল 'সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৩'। কিন্তু সাফ মিশনে পুরোপুরি ব্যর্থ হন কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। তারপর অনেক নাটক আর ঘটনার পরিশেষে দ্বিতীয় মেয়াদে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপকে সামনে রেখে কোচ হিসেবে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেয় ক্রুইফ। তবে এবার হয়তো সেই সাফ ব্যর্থতার দুর্নাম অনেকটাই মিটবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ' ১৭ কোটি মানুষের মান রাখতে পেরেছি। দলের সবাই ভালো খেলেছে। প্রথমার্ধে কিছু পজিশনে আমরা থাইল্যান্ডকে খেলতে দিতে চাইনি। আমরা সফল হয়েছি, উল্টো ওই সকল পজিশনে আমরা আমাদের খেলাটা চালিয়ে গিয়েছি। দেখুন প্রথম ম্যাচের থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের কম ভুল হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচের থেকে তৃতীয় ম্যাচেও আরো কম ভুল হয়েছে। দিন দিন খেলাটা গুছিয়ে নিচ্ছি আমরা। এখন লক্ষ্য ফাইনালে আরেকটি সুন্দর ম্যাচ উপহার দেয়া। '

ওদিকে থাই কোচ ফমরাত চকতাভি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলকে অভিনন্দন। আজ তারা খুবই ভালো খেলেছে। তারা ম্যাচে প্রচন্ড মনযোগী ছিলো। তাদের স্ট্রাইকাররা বেশ গতিশীল ফুটবল উপহার দিয়েছে। আমাদের একটি সমস্যা ছিল। দর্শকদের জন্য আমাদের ম্যাচে মনযোগ দিতে একটু সমস্যা হয়েছে। দর্শকরা বড় একটা চাপ ছিলো আমাদের জন্য। দ্বিতীয়ার্ধে আমি ছেলেদের বলেছি লং পাসে না খেলে ছোট ছোট পাসে খেলতে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।