ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

মালয় বধে প্রস্তুত বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫
মালয় বধে প্রস্তুত বাংলাদেশ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বেঙ্গল টাইগার্স খ্যাত বাংলাদেশের ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৬৫ আর ‘মালয়ান টাইগার’ খ্যাত মালয়েশিয়ার ফিফা র‍্যাঙ্কিং ১৫৪। জাতীয় দল নয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে পরাজিত হয়েই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।



তবে অনূর্ধ্ব দল হলেও দলটি বেশ সুসংগঠিত ও গতিময় ফুটবল খেলে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ জাতীয় দলকে পরাজিত করে। আর সেমিফাইনালে সিঙ্গাপুরকে ১-০ গোলে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের ফেভারিটের তকমা গায়ে নিয়েই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে মালয় যুবারা।

বাংলাদেশ এ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে ৩টি (ফিফা স্বীকৃত ম্যাচ)। দুটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে, একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ পরাজিত হয়েছে। তবে দুই দল সব মিলিয়ে মুখোমুখি হয়েছে ৮ বার। বাংলাদেশের জয় মাত্র ১টিতে, মালয়েশিয়ার জয় ৬টিতে, বাকি ১ ম্যাচ ড্রয়ের পথে গড়ায়।

তবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে খানিকটা উল্টো রথে চেপেই এগিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে মালয় যুবাদের কাছে পরাজিত বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায়। ফলে সেমির টিকিট নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। তবে তৃতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট থাইল্যান্ডকে টোটাল ফুটবলের ঝাটপা মেরে ফাইনালের টিকিট কাটে বাংলাদেশ দল। ফলে ম্যাচ বাই ম্যাচ ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার ইঙ্গিত আছে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের।  

রোববার ফাইনালে মালয়েশিয়া যুবাদের হারাতে পারলেই ২৬ বছর পর বাংলাদেশ ফিফা স্বীকৃত কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হবে। ১৯৮৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্টস গোল্ডকাপের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিভার্সিটি দলকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

এরপর ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারের চারজাতি আমন্ত্রণমূলক ট্রফি ও ১৯৯৯ এবং ২০১০ সালে সাউথ এশিয়ান গেমস আর ২০০৩ সালে সাফ গেমস শিরোপা জিতলেও এগুলো ফিফা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছিল না। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আসরটি ফিফা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হওয়াতে দীর্ঘদিন পর আরেকটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের এটি তৃতীয় আসর। প্রথম দুটি আসরের ফাইনালে দর্শক ছিল স্বাগতিকরা। ১৯৯৬ সালে প্রথম আসরের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল মোহামেডান ও আবাহনী। সেমিফাইনালে মোহামেডান-আবাহনী উভয় দলই হেরেছিল টাইব্রেকারে। আর ১৯৯৯ দ্বিতীয় আসরে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় দল। স্বাগতিকরা বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। এবারই প্রথম গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠল স্বাগতিকরা।

উল্লেখ্য, বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দীন খেলোয়াড়দের জন্য বোনাসের ঘোষণা দিয়েছেন। সেমিতে জেতায় বাংলাদেশ দল পুরস্কার পাবে ৫০ লাখ টাকা। আর ফাইনালে জিতলে পাবে আরও ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ দলকে ২০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের।

এখন দেখার বিষয় রোববারের ফাইনালে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের প্রতিশোধ ও ৫ বছর পর শিরোপার খরা কাটাতে পারে কিনা বাংলাদেশ?

রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।