যশোর থেকে: মালয়েশিয়া-নেপাল ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের বিগত আসরের চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়া একাদশ শূন্য হাতে মাঠ ছাড়ল। ম্যাচে কোন দল গোল করতে না পারায় গোল শূণ্য ড্র দিয়েই শেষ হলো নেপাল বনাম মালায়েশিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি।
২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আসরের সেই দলটি এবার আসেনি, এবার খেলছে তাদের অনূর্ধ্ব -২৩ দল। নেপালও জাতীয় দল নিয়ে আসেনি। এসএ গেমসের প্রস্তুতি হিসেবে তারা এসেছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে।
শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-২ গোলে হারিয়েছিলো শ্রীলঙ্কাকে।
শনিবার যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়া-নেপাল ম্যাচে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু হয়। ম্যাচের শুরু থেকে নেপালকে বেশ চাপে রাখে মালয়েশিয়ার দলটি। ১৯ মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় তারা। ডান প্রান্ত থেকে বল উড়ে গিয়েছিল গোলমুখে। ববি গঞ্জালেস ঠিক মতো হেড নিতে পারলে বল জড়াতে পারতো নেপালের জালে। ৪০ মিনিটে চমৎকার একটি আক্রমণ ছিল নেপালের। বিমল মাগোর বেশ দূর থেকেই শট নিয়েছিলেন। তবে এ যাত্রায় গোলকিপার সেভ করেছেন।
বিরতির পর নেপালের রবিন শ্রেষ্ঠ সবচেয়ে সহজ সুযোগটা মিস করেন। ৫৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার গোলকিপার ডি বক্সের বাইরে উঠে আসেন। বিমলের কাছ থেকে বাঁয়ে বল পেলেন রবিন। কিন্তু সামনে ফাঁকা জাল পেয়েও গোল করতে পারলেন না।
৬৩ মিনিটে আরেকটি আক্রমণ ছিল নেপালের। এবার তার দূরপাল্লার শর্টটি বারে লাগে। শেষদিকে নেপালই ছিল এগিয়ে। ডান দিক দিয়ে নেপালের বিশাল বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু চমৎকার সেই বলকে বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন প্রকাশ। খেলার বাকি সময় কোন গোল না হওয়া ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দু’দল।
ম্যাচ পরবর্তি সংবাদসম্মেলনে নেপাল দলের কোচ বাল্ম গোপাল মহারাজ বলেন, ‘আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতি সন্তুষ্ট কারণ মালায়েশিয়ার মত দেশের সাথে আমরা ড্রয় করতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য অর্জনের কম কিছু নয়। ’
এর আগে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মালায়েশিয়ার কোচ এরফান বাক্তি বলেন, ‘নেপাল বেশ শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে। ওরা মাঠে সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেছে। তবে আমাদের ছেলেরাও ভালো খেলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘন্টা, ০৯ জানুয়ারি ২০১৬
এমএমএস