ঢাকা: এবারের রিও অলিম্পিক নিয়ে শঙ্কা আর অভিযোগের শেষ নেই। এরই মধ্যে থাকার ব্যবস্থা নিয়েও শোরগোল শুরু হয়ে গেছে অ্যাথলেট ও জাতীয় দলগুলোর মাঝে।
তবে, নিজেদের নিরাপদে রাখতে আর অহেতুক সমস্যা থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দল রিও অলিম্পিকে থাকবেন একটি বিলাসবহুল জাহাজে।
সিলভার ক্লাউড নামের জাহাজটি ইতোমধ্যে রিওর বন্দরে পৌঁছে গেছে। এখানেই থাকবেন আমেরিকার বাস্কেটবল দল।
এই জাহাজটিতে একটি লাইব্রেরি, বিউটি স্যালুন, ক্যাসিনো আর চারটি রেস্তোরাঁ আছে বলে জানা যায়। ব্যবহারের জন্য জাহাজটির একটি সুইটের ভাড়া সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ পাউন্ডের মতো।
৫১৪ ফুট লম্বা এই জাহাজটি নয়টি ডেক রয়েছে। এর গতি ঘণ্টায় ১৮ নট বা ২০.৭ মাইল। বিশ্বের ধনী বাস্কেটবল দলটিকে বহন করা জাহাজটির যাত্রীবহন ক্ষমতা ২৯৬ জন।
৫০ জন আমেরিকান অ্যাথলেট আর সাপোর্ট স্টাফদের এই জাহাজেই থাকার কথা রয়েছে।
মার্কিন বাস্কেটবল টিমের মুখপাত্র হিসেবে ক্রেইগ মিলার জানান, ‘আমরা অলিম্পিক ভিলেজে থাকব না। সেটা আমাদের প্রস্তুতির জন্য ভালো হবে না। দলের খেলোয়াড়রা লম্বা মৌসুম পার করে অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছে। তাই তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকার এটা ভালো ব্যবস্থা। এমন কিছু ভেবেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ’
সিলভার ক্লাউড নামের জাহাজটিতে এক একটি সুইটের দৈর্ঘ্য ২২ স্কয়ার মিটার। বেইজিং ও লন্ডন অলিম্পিকে টিম হোটেলে কাটিয়েছিল আমেরিকার প্রায় সাত ফুট লম্বা খেলোয়াড়রা। সে সময় তাদের হোটেলে থাকতে বেশ বেগ পেতে হয়। তাই এবার জাহাজে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ফেডারেশন।
ক্রেইগ মিলার জানান, ‘টিম হোটেল ও গেমস ভিলেজে থাকতে বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের সমস্যা হয়। তাদের ঘুমাতেও সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ, হোটেলের বিছানাগুলো এতটাই ছোট যে সাত ফুট লম্বা মাপের খেলোয়াড়দের সেখানে ঘুমাতে বেগ পেতে হয়। ’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকেও জাহাজে ছিল মার্কিন বাস্কেটবল দলের সদস্যরা। তখন তারা কুইন মেরি টু ভাড়া করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ০২ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি