বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিকের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ব্রাজিলের শহর রিও ডি জেনেইরো। ইতোমধ্যে অলিম্পিকের মশাল পৌঁছেছে সেখানে।
ব্রাজিলের ৩৩৫টি শহর আর ২০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মশালটি রিও ডি জেনেইরোতে এসে পৌঁছায়। তাতে সময় লাগে প্রায় তিন মাস। তবে মশাল পৌঁছানোর পর শহরটিতে শত-শত মানুষ সহিংস বিক্ষোভ করেন এবং মশাল প্রদক্ষিণের রাস্তা বন্ধ করে দেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের মূল কারণ, রাজনৈতিক অস্থিতীশীলতার মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকার পরও কেন দেশটির সরকার এতো বড় আয়োজন করতে চাচ্ছে! এ সময় তারা অলিম্পিক গেমস আয়োজনে ব্যাপক অর্থব্যয় নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
অলিম্পিক মেডেল জয়ী সাবেক অ্যাথলেটরা একটি ইয়ট চালিয়ে সমুদ্রপথে মশালটি নিয়ে রিওতে পৌঁছান। তবে, কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটলেও মশালের আগমনকে স্বাগত জানান রিও-র অধিকাংশ বাসিন্দা। এ সময় মশাল বহন করেন ব্রাজিলের হয়ে পাঁচবারের অলিম্পিক পদক জয়ী অ্যাথলেট টরবেন গ্রায়েল।
মশালটি রিওতে পৌঁছালে তা তুলে দেওয়া হয় রিওর মেয়র এডুয়ার্ডো পায়েজের হাতে। তিনি মশালটি নিয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করেন। তিনি জানান, ‘রিওর প্রতিটি মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা গত চার বছর ধরে অলিম্পিক আয়োজনে সাহায্য করেছে। ’
উল্লেখ্য, অলিম্পিক মশাল প্রজ্জ্বলনের প্রথা চালু হয়েছিল ৮০ বছর আগে বার্লিন গেমসের সময়। রিও অলিম্পিকের জন্য অলিম্পিক মশাল গত ২১ এপ্রিল প্রজ্জ্বলন করা হয় দক্ষিণ গ্রিসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরেছে এই মশাল। মশালটি জ্বালান তারকা ক্যাটেরিনা লিহু। এরপর তিনি মশালটি তুলে দেন গ্রিসের বিশ্ব জিমনাস্টিক চ্যাম্পিয়ন এলেফথেরিও পেত্রুনিয়াসের হাতে। বিভিন্ন দেশে এই মশাল বহন করেন ১২ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৬
এমআরপি