ঢাকা: ব্রাজিল অলিম্পিকের মশাল হাতে নেওয়া শান্তিতে নোবেল পাওয়া বাংলাদেশি ড. মুহম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ১২৯তম সেশনে ভাষণ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানটি।
এর আগেই বিশ্ববাসীর সামনে ভাষণ দেন প্রফেসর ইউনূস। রিও ডি জেনেইরোর ওশেনিকো কনভেনশন সেন্টারে দেয়া ভাষণে প্রফেসর ইউনূস তুলে ধরেন সামাজিক ব্যবসার সম্ভাবনা। এছাড়া তিনি জানান কি করে পৃথিবীর বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে অলিম্পিকস ও খেলাধুলা একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।
এর আগে অলিম্পিকের মশাল হাতে নিয়ে রিওর রাজপথ প্রদক্ষিণ করেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি এই সম্মান পেয়েছেন।
তিনি তার ভাষণে বুঝিয়ে দেন, কি করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর বাইরে থাকা মানুষদের সহায়তা করা যায়। এই নোবেল জয়ী বাংলাদেশি প্রায় পৌঁনে এক ঘণ্টা বক্তৃতা দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত অনেকে তাকে প্রশ্ন করতে চাইলেও কমিটির ১৫ জন সদস্যই তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পান। তবে, মজার বিষয় হলো মাত্র ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকলেও বাংলাদেশি এই নোবেল জয়ীকে আরও ৩০ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে আপত্তি করেননি সেখানে উপস্থিত থাকা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অলিম্পিক কমিটিগুলোর দুই শতাধিক প্রেসিডেন্ট ও তাদের অতিথিরা।
এ সময় তিনি গুরুত্ব দিয়ে জানান, অলিম্পিক গেমসের আয়োজক হতে হলে আগ্রহী শহরগুলোর কী কী করা উচিত, প্রতিটি শহরে অলিম্পিকের ধারাবাহিকতা কী হবে, সামাজিক ব্যবসা কীভাবে অপরাধ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো মোকাবেলা করবে।
অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অ্যাথলেটরা অবসর নেওয়ার পর কি করবেন, সেটি নিয়েও আলোচনা করেন ড. ইউনূস।
এর আগে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের এই অর্থনীতিবিদ মশালটি রিওর পশ্চিমের শহরতলি কাম্পো গ্রান্দেতে আসার পর সেটি হাতে নেন। এরপর ২০০ মিটার পর্যন্ত মশাল হাতে হেঁটেছেন তিনি। এ সময় তার দুই পাশে নিয়োজিত ছিলেন বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী।
ইউনূসের এই মশাল হাতে নেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে রিও অলিম্পিকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ০৫ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি