ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ

মহিবুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ

ঢাকা: মাওলানা ভাষানী হকি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট বসাতে ৮-৯ মাস সময় লাগবে বলে জানালেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। তিনি জানান, ‘ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার পরে পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করতে সাধারণত ৮-৯ মাস লাগে।

তবে এটা নির্ভর করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের উপর। কেননা মালামাল বিদেশ থেকে আনতে সময় লাগে। আমাদের প্রত্যাশা ওই সময়ের মধ্যেই আমরা ফ্লাডলাইট বসানোর কাজ শেষ করেত পারবো। ’

দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের হকি ভেন্যু মাওলানা ভাষানী হকি স্টেডিয়াম। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের হলেও ফ্লাডলাইটের অভাবে এখানে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টই আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোনো ম্যাচে সন্ধ্যা হলেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কৃত্রিম আলোর উজ্জ্বল আভায় স্টেডিয়ামকে জ্বলে উঠতে দেখো যায় না।

তাই ফ্লাডলাইট স্থাপন এখন হকি ফেডারেশনের জন্য বাধ্যতামূলকই হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা এ বছরের নভেম্বরে চ্যাম্পিয়নস হকি টুর্নামেন্ট ঢাকায় আয়োজনের কথা থাকলেও তা আলোক স্বল্পতার জন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে মালয়েশিয়াতে।

ফলে ফ্লাডলাইট স্থাপনের বিষয়টি এখন সময়ের দাবী। আর এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনকে ১০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক অনুদান দিচ্ছে জাতী ক্রীড়া পরিষদ।

ফ্লাডলাইট ছাড়াও এই অনুদান দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পাওয়ার স্টেশন, মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও লিফট বসানোর বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত থাকছে।
 
কাঙ্খিত সেই অনুদান পেতে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনকে যেতে হচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বেধে দেয়া প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। কেননা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুদানের বিষয়টি পাঠিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট ইভ্যালুয়েশন কমিটির কাছে। কমিটি প্রকল্পের খুটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ শেষে ক্রীড়া পরিষদকে বরাদ্দ দিলে তবেই ফ্লাডলাইটের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা যাবে বলে জানালেন অশোক।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ পাইনি। তবে বরাদ্দ প্রদান সংক্রান্ত যে সভা সেই সভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট ইভ্যালুয়েশন কমিটি। যেকোনো প্রকল্পের প্রস্তাব সেখানে গেলে এই কমিটির মাধ্যমে তা অনুমোদন লাভ করে। সেখানে ওই মিটিংয়ে আলোচনা হওয়ার পরে কতগুলো বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেই পর্যবেক্ষণের আলোকে ক্রীড়া পরিষদ থেকে প্রজেক্ট রিকাস্টিং করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। কাজ চলছে। রিকাস্টিং রীতি অনুযায়ী তাদের যে নথির কাজটি আছে সেটি শেষ করে আমাদের আনুষ্ঠানিক বরাদ্দপত্র দেবে এবং সেটি পাওয়া গেলেই আমরা বলতে পারবো যে বরাদ্দ পাওয়া গেল। ’

বরাদ্দ বুঝে পেতে কতদিন লাগবে? উত্তরে ক্রীড়া পরিষদ সচিব জানান, ‘আমরা ধারণা করছি খুব শিগগির অর্থাৎ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বরাদ্দপত্র পেয়ে যাব। বরাদ্দ পাওয়ার পর বাস্তবায়ন স্তরে গিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার নিযুক্ত করে কাজ শুরু করতে পারবো। ’
 
আর সেটা করতে পারলেই নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হবে বাংলাদেশ হকির। আধাঁরের নিকষ কালোয় আর বন্ধ হয়ে থাকবে না আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট। গতিশীল হবে লাল-সবুজের হকি। মাওলানা ভাষানীর নীল রঙের উজ্জ্বল টার্ফ ভাসবে ফ্লাডলাইটের উজ্জ্বল আলোয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ১৬ আগস্ট ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।