ঢাকা: ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই শেখ কামালকে মরণোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের রূপকার হিসেবে খ্যাত শেখ কামাল জীবদ্দশায় দেশের খেলাধুলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ কামালের পক্ষে তার বন্ধু ঢাকা ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ শাহেদ রেজা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
শেখ কামাল দেশের আধুনিক ফুটবল ও ক্রিকেটের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি একাধারে একজন ক্রীড়াবিদ ও শক্তিশালী ক্রীড়া সংগঠক। আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তিনিও নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। শেখ কামালকে মরণোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১১ প্রদান করা হয়।
মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদত বরণের চার দশক পর ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের এই সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেন আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল। তিনি ক্রিকেট, বাস্কেটবল ও ব্যাডমিন্টন খেলতেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন অ্যাথলেট। শেখ কামালের চিন্তাধারায় সব সময়ই ছিলো কিভাবে দেশের খেলাধুলাকে আরও এগিয়ে নেয়া যায়।
এছাড়াও বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলটসহ ৩২ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে পুরস্কৃত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব পুরস্কার তুলে দেন।
১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার চালু করা হয়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ১৯৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। এরপর ২০১০-১১-১২ সালে তিন বছরে মোট ৩২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এমইউএম/এমআরপি