নির্বাচনে প্রার্থীরা দুইটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে অংশ নিচ্ছেন। সোমবার (৩ এপ্রিল) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ নির্বাচনে জিততে সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ ও প্রতিদ্বন্দ্বী সব ক্লাব সংগঠক পরিষদ ভোটারদের কাছে খুলনার ক্রীড়াঙ্গন সচল এবং সারাবছর খেলাধুলা চালু রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
শনিবার (১ এপ্রিল) খুলনা প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে উভয় প্যানেল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের সামনে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
স্বচ্ছ, গতিশীল ক্রীড়াঙ্গন এবং বর্তমান জেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় ‘দারা-রফিকুল-শামীম-মোতালেব-সুজন’ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ।
অপরদিকে, ‘তপন-সাইফুল, মুনসুর-গোলাম-দোজার’ নেতৃত্বাধীন সব ক্লাব সংগঠক পরিষদ খুলনা ক্রীড়াঙ্গনের হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যামে সারাবছর খেলাধুলা চালু রাখার অঙ্গীকার নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছে।
নির্বাচনে চারটি সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৬টি পদে মোট ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ২২০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
প্রথমে ‘দারা-রফিকুল-শামীম-মোতালেব-সুজন’ পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সুজন আহম্মেদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এবং বর্তমান জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্বে নিরলস ও ঐকান্তিক চেষ্টায় খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের মরা গাঙ্গে জোয়ার আসতে শুরু করেছে। আমরা সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ সে গাঙ্গে খেলাধুলার বান আনতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পরিষদ অগাধ টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা আমাদের যোগ্যতা ও উন্নয়নের দৃশ্যমান উপস্থিতি অস্বীকার করতে না পেরে নগদ টাকা নিয়ে ভোটারদের কাছে হাজির হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ব্যবহারের অনুযোগী স্টেডিয়াম ভেঙ্গে নতুন করে সুদৃশ্য প্যাভিলিয়নসহ খুলনা জেলা স্টেডিয়াম নির্মাণ, জিমনেসিয়াম সংস্কার, জাতীয় পর্যায়ে ১১টি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন, ক্রিকেটে বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ের ৪টিতে চ্যাম্পিয়ন, জেলা ক্রীড়াসংস্থার কার্যক্রমে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনাসহ তাদের সময়ের ৭টি উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সহ-সভাপতি প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাজী শামীম আহসান।
অপরদিকে, পরের সংবাদ সম্মেলনে সব ক্লাব সংগঠক পরিষদের পক্ষে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সহ-সভাপতি প্রার্থী আজমল আহমেদ তপন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা।
তারা বলেন, আমাদের পরিষদ খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অকার্যকর অবস্থা ও হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা চালু করার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ক্রীড়াঙ্গনে খুলনা একটি ঐতিহ্যবাহী নাম। যা গত কয়েক বছরে আমরা হারাতে বসেছি।
তারা বলেন, আমরা বিজয়ী হলে ক্রিকেটসহ প্রত্যেকটি ইভেন্টে নিয়মিত লিগ খেলার আয়োজন করাসহ বিজয়ীদের মধ্যে সময় মতো ট্রপি বিতরণ এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার জবাবদিহিতা থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এমআরএম/টিআই