সম্প্রতি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৩তম এইউ আন্তর্জাতিক তাইকোয়ান্দ চ্যম্পিয়নশিপ-২০১৭ তে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে জিতেছেন স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক। নাঈম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ২৫-২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় প্রিন্সেস কাপ নামে খ্যাত এই প্রতিযোগিতা। এর আগে ২০ মার্চ থাইল্যান্ডেই অনুষ্ঠিত হয় সেঞ্চুরি ক্লাসিক তাইকোয়ান্দো প্রতিযোগিতা। দু’টি প্রতিযোগিতায়ই অংশ নেন নাঈম আলী। এবার সারা বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র নাঈমই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। পদক জিতে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন নাঈম এবং তার কোচ।
পদক জয়ের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নাঈম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কুইকা বিশ্ববিদ্যালয় এখানে (রাবিতে) তাইকোয়ান্দোকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছেন। এই সহযোগিতা না পেলে হয়তো এমন অর্জন সম্ভব হতো না। কোচের পরিশ্রম ও গাইডলাইন অনেক সাহায্য করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দেশের পতাকাকে সমুন্নত করতে পেরে আমি আনন্দিত।
আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে নাঈম বলেন, সামনে জুন মাসে কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক তাইকোয়ান্দো প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। সেখানে অংশগ্রহণ ও ভালো করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
নাঈমের কোচ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কামরুজ্জামান চঞ্চল বাংলানিউজকে বলেন, সেঞ্চুরি ক্লাসিকে নাঈমের সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। ৬৮-৭৪ কেজি ক্যাটগরির ফাইনালে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে নাঈম। তার প্রতিপক্ষ অর্জন করেছে মাত্র ১২ পয়েন্ট।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল প্রিন্সেস কাপ। এই প্রতিযোগিতায় থাইল্যান্ড, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, ফিলিপাইনসহ ১১টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। নাঈম অংশ নেয় পুমসে ক্যাটগরিতে। এই ক্যাটগরিতে প্রায় ১৫০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ফাইনালে ওঠে নাঈম ও থাইল্যান্ডের ওরাসিট ন্যুটসেনাট। ফাইনালে ওরাসিট সাত পয়েন্ট পেয়ে স্বর্ণ আর নাঈম ছয় দশমিক ৬৭ পয়েন্ট পেয়ে রৌপ্য পদক অর্জন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এসআই