কারণ দর্শানোর জন্য ইতোমধ্যে সময় বেঁধে দিয়েছে ফেডারেশন। ফিডব্যাক না দিতে পারলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
হকি ফেডারেশনের অভিযোগ, টেলিভিশনের টকশোতে বাহফে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদকের (আব্দুস সাদেক) বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন জিমি। তাছাড়া সেনাবাহিনীর একজন খেলোয়াড়ের সাথে দুর্ব্যবহারও করেছেন।
এ সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক জানান, ‘তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আছে ফেডারেশনে। তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) সশরীরে এসে আপিল করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বড় ধরনের শাস্তি অপেক্ষা করছে তার জন্য। ’
ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর তরফে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে ফেডারেশনে। খেলার সময় মাঠের মধ্যে পাস না দিলে তরুণ খেলোয়াড়দের গালিগালাজ করতেন জিমি। এমন বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে শোকজ নোটিশ দেয়া হয় জিমিকে।
এ প্রসঙ্গে হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এক জনের জন্য দশ জন নষ্ট হোক, সেটা আমরা চাই না। জিমি যদি দোষী প্রমাণিত হয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
এর আগেও ২০১৪ সালে হকি ফেডারেশনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন জিমি। পরের বছর অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ফিরেছিলেন। কিন্তু আবারও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় ধাক্কাই পেতে হতে পারে জিমিকে। গুণতে হতে পারে বড় মাশুল। বাদ পড়তে পারেন অক্টোবরে হতে যাওয়া এশিয়া হকি কাপের স্কোয়াড থেকে। যেমনটা নিলয়-মিমোও হয়েছিলেন। শৃঙ্খলাজনিত অভিযোগে দলের বাহিরে ছিটকে গিয়েছিলেন তারা।
এদিকে জাতীয় দল নির্বাচক কমিটির সমন্বয়কের নতুন দায়িত্ব পাওয়া মাহবুবুল এহসান রানা জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ হকির দলে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে শৃঙ্খলা। অথচ দলের সবচেয়ে বড় তারকার বিরুদ্বেই কিনা শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ! দলের জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়রা যদি এমন আচরণ করেন তাহলে তাদের থেকে কি শিখবে নবীনরা? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ০৮ এপ্রিল ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি