মূলত শিশুদেরকে ঘরমুখো থেকে মাঠমুখী করতেই এধরনের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা পেপার মিলসের ডেপুটি ম্যানেজার করিমুল আরাফাত ও মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মুর্শেদুল বারী।
অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে সকাল থেকেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মাদানি অ্যাভিনিউয়ে আসতে থাকেন অংশগ্রণকারী শিশু-কিশোররা। অভিভাবক ও শিশু-কিশোরদের পদচারনায় মুখোর হতে থাকে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন। ২ থেকে ১২ বছর বয়সের প্রায় ১৫০ জন শিশু দৌড়ে অংশ নেয়।
তিনটি শ্রেণীতে ভাগ হয়ে দৌড়ায় তারা। অনূর্ধ্ব-৫ বছরের শিশুরা ১০০ মিটার, অনূর্ধ্ব-৮ বছরে শিশুরা ১ কিলোমিটার ও অনূর্ধ্ব-১২ বছরের শিশুরা ২ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেয়। অবশ্য এই প্রতিযোগিতায় ছিলো না কোন বিজয়ী। শুধু মাত্র শিশুদের আনন্দের জন্যই এমন আয়োজন।
এসময় পৃষ্ঠোপোষক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলসের ডেপুটি ম্যানেজার করিমুল আরাফাত বলেন, ‘এধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে ভাল লাগছে। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন গড়ে তুলতে হলে ব্যায়াম ও দৌড়ের কোন বিকল্প নেই। ’
দৌড় শেষে অংশগ্রনকারীদের সার্টিফিকেট ও মেডেল প্রদান করেন প্রধান অতিথি সামিনা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ ছোট বেলা থেকেই শিশুদের নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। তবেই তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে। একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারবে। ’
বিশেষ অতিথি জোবেরা রহমান লিনু বলেন, ‘ হেলদি ও সুস্থ জীবন গঠনে খেলাধুলা ছাড়া অন্যকোনো পথ নেই। আমি অবিভাবকদের অনুরোধ করবো তারা যেন ছোট বেলা থেকেই শিশুদের যত্ন নেন। নিয়মিত খেলাধুলার প্রতি শিশুদের আগ্রহী করে তোলেন। ’
এই অনুষ্ঠানের আরোও উপস্থিত ছিলেন পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আল কাদেরিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম সুমন ও দা গ্রেট বাংলাদেশ রানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘন্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
আরএআর/এমকেএম