শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধ্যে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় খুবির দল ২-০ সেটে ঢাবির দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তিনি বিজয়ী ও রানার আপ উভয় দলের খেলোয়াড়দের-ম্যানেজার ও কোচদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বেশি করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা দরকার। একইসঙ্গে যারা খেলোয়াড় নয়, কিন্তু সমর্থক, দর্শক হিসেবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠে সময় কাটালে খেলা যেমন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, তেমনি দর্শকরাও মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে মাদক বা অপসাংস্কৃতির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেজন্য তিনি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলাসহ শিক্ষা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানান।
তিনি বেশি বেশি করে খেলার আয়োজনের মাধ্যমে খুবিকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ভেন্যু হিসেবে পরিণত করারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর শরীফ হাসান লিমন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শারীরিক শিক্ষাচর্চা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য-সচিব মোল্লা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শারীরিক শিক্ষাচর্চা বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম জাকির হোসেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দলের খেলোয়াড়রা ছিলেন রবিউল ইসলাম, আব্দুল্লাহ হাসান রাকিব, রিদওয়ানুল হক, আশফাক আহমেদ শাহুল।
দলের ম্যানেজার ছিলেন প্রফেসর ড. ইফতেখার শামস। কোচ ছিলেন শারীরিক শিক্ষাচর্চা বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম জাকির হোসেন এবং সহকারী কোচ ছিলেন আবু সাঈদ।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন শেখ মারুফ হাসান, এটিএম জাহিদ হাসান, মাধুর্য সরকার এবং এবিএম মাইনুল হাসান। ম্যানেজার ছিলেন শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোবাশ্বের সালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এমআরএম/এএটি