কিছুদিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)-এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাহুল জহুরি। এবার পদত্যাগ করলেন বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট অপারেশনস) ও সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সাবা করিম।
শনিবার (১৮ জুলাই) বিসিসিআই বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন করিম। তবে তার পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলেই জানিয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম। বিসিসিআই’র পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছুই খোলসা করা হয়নি।
গত অক্টোবরে সৌরভ গাঙ্গুলী বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই নিয়ে বিসিসিআই’র ম্যানেজমেন্টের শীর্ষ পর্যায়ের চারজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করলেন। করিমের আগে রাহুল জহুরি (প্রধান নির্বাহী), সন্তোষ রঙ্গনেকার (প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা) এবং তুফান ঘোষ (জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান অপারেটিং অফিসার) তাদের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
গত সপ্তাহেই জহুরির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বিসিসিআই। যদিও গত ডিসেম্বরেই তিনি পদত্যাগপত্র সাবমিট করেছিলেন। প্রধান নির্বাহী পদে তার চুক্তির মেয়াদ ছিল ৫ বছর, যা শেষ হওয়ার এক বছর আগেই সরে দাঁড়ান তিনি। ‘মিটু’ আন্দোলনে তার নাম আসার পর থেকেই বোর্ডে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। এই নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি কমিটিও গঠন করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
জহুরির পদত্যাগের বিষয়টা অনেকটা পরিষ্কার হলেও সাবা করিমের ব্যাপারটা এখনও ঘোলাটে। ২০১৭ সালে তাকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটা দেখভাল করেছিলেন জহুরি নিজেই। এর আগে সন্দ্বীপ পাতিলের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির সদস্যও ছিলেন করিম। খেলার মাঠে দুর্ঘটনায় চোখের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় জাতীয় দলের জার্সিতে বেশিদিন খেলা হয়নি তার।
দ্বিতীয়বার বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বেশ সাফল্যের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। ঘরোয়া ও নারীদের ক্রিকেটের উন্নয়নে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু নারী ক্রিকেট দলের সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তৎকালীন ক্রিকেট প্রশাসক কমিটির সদস্য ডায়ানা এডুলজি এ নিয়ে বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর কাছে চিঠিও লিখেছিলেন। পদত্যাগের কারণ কি সেই বিতর্ক নাকি অন্যকিছু, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
এমএইচএম