ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

'বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ'; নিষিদ্ধ হলেন অ্যাথলেট জহির

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
'বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ'; নিষিদ্ধ হলেন অ্যাথলেট জহির

একাধিক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগে হওয়া মামলায় হাজতে পাঠানো হয়েছে টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাথলেট জহির রায়হানকে। এবার একই অভিযোগে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।

 

বৃহস্পতিবার রাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম মন্টুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জহির রায়হানের নৈতিক স্খলন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বের বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে বহিষ্কারসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এই দৌড়বিদ।  

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ২০১৭ সালে সাভার বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে জহিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দেড় বছর তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাদীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালের ৩ মে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করেন জহির। কিন্তু এরপর থেকে বিয়ে নিয়ে জহির টালবাহানা শুরু করেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি। এরপর ২০১৯ সালের ৫ মে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ করতে যান বাদী।

কিন্তু কালিয়াকৈর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ মামলা গ্রহণ না করায় তিনি গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এরপর আসামিকে আদালতে হাজির করার জন্য ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। কিন্তু আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর মাঝেই গত ২ সেপ্টেম্বর জহিরের বিরুদ্ধে তার কর্মস্থলে আরেকজন নারী 'বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ'-এর অভিযোগ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জহির জামিন আবেদন করেন।

কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তাকে জামিন নামঞ্জুর করে হাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন জহির। এর আগে বিচারের আশায় জহিরের পরিবার ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাদী। কিন্তু সেখানেও পাত্তা না পেয়ে তিনি আদালতে যান। এই ঘটনার বিচার দাবি করে গণমাধ্যমকে বাদী বলেন, 'একজন ধর্ষককে কীভাবে টোকিও অলিম্পিকে পাঠানো হলো?'

এর আগে দেশের দ্রুততম মানব ইসমাইল হোসেনকে বাদ দিয়ে এই জহিরকে টোকিও অলিম্পিকে সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাথেলেটিকস ফেডারেশন। কেনিয়ায় বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালেও খেলেছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।