ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ ইউক্রেনের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ ইউক্রেনের

যুদ্ধ, হিংসা, রক্ত- একটা ভয়াবহ অধ্যায় পার করছে ইউক্রেন। এবং এর রেশ এখনও চলছে।

ইউক্রেন এখন ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। তবে সেই ক্লান্তির মাঝেই গোটা দেশে যেন এক মুঠো রং ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেস্টায় ইউক্রেন ফুটবল দল। বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশকে তুলতে না পারলেও নিজেদের লড়াই করার ক্ষমতা দেখিয়ে দিল ফুটবল যোদ্ধারা। ওয়েলসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেছে ইউক্রেনের।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বুক চিতয়ে লড়লো ইউক্রেন। তবে ৩৪ মিনিটে দলের অধিনায়ক ইয়ারমোলেঙ্কোর আত্মঘাতি গোলে কপাল পুড়লো যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির। অন্যদিকে ১৯৫৮ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপে স্থান করে নিয়েছে ওয়েলস। কাতার বিশ্বকাপে ‌‌বি গ্রুপে লড়বে তারা। বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়েলসের সঙ্গে দেখা হবে ইংল্যান্ডের।

কার্ডিফ সিটি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধটা ইউক্রেনই দাপটের সঙ্গে খেলল, সুযোগ পেল বেশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজেরা গোল তো পেলই না, উল্টো ৩৪ মিনিটে গোল খেয়ে বসল। বাঁ পাশে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে নেওয়া গ্যারেথ বেলের ফ্রি-কিক বিপদমুক্ত করতে হেড করেছিলেন ইউক্রেন অধিনায়ক আন্দ্রে ইয়ারমোলেঙ্কো। বল তাঁর মাথায় লেগে চলে যায় নিজেদের জালে।

সেই গোলটা শোধ করার সুযোগ মিনিট পাঁচেক পরেই পেতে পারত ইউক্রেন। কিন্তু ইয়ারমোলেঙ্কোকে বক্সের ভেতর ফাউল করেও বেঁচে যান জো অ্যালেন। ভিএআরে বাতিল হয়ে যায় ইউক্রেনের পেনাল্টির আবেদন। যদিও রেফারির সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত মনে হয়েছে রিপ্লে দেখে।

বিরতির পর মাঠে নামার মিনিট চারেকের মধ্যেই প্রতি আক্রমণ থেকে পাওয়া একটা দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছেন ওয়েলসের অ্যারন রামসে। ইউক্রেন অবশ্য হাল ছাড়েনি। একের পর এক আক্রমণ করে গেছে, ওয়েলস মূলত অপেক্ষায় থেকেছে প্রতি আক্রমণের। রক্ষণভাগে বেশ সময় কেটেছে ওয়েলসের লেফট ব্যাক বেন ডেভিস ও গোলরক্ষক ওয়েইন হেন্নেসির। এর মধ্যেই ৭৫ মিনিটে ইউক্রেনকে প্রায় নিশ্চিত গোল থেকে বাঁচান গোলরক্ষক জর্জ বুশান, গ্যারেথ বেলের দুর্দান্ত গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।

পরের মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ইয়ারমোলেঙ্কোও। কিন্তু আরও একবার ওয়েলসের ত্রাণকর্তা হয়ে দেখা দেন বেন ডেভিস। ৮৪ মিনিটে ভিতালি মিকোলেঙ্কোর ক্রসে হেড করেছিলেন বদলি নামা আর্তেম দোবিক। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সেই হেড ঠেকিয়ে দেন ওয়েইন হেন্নেসি। গোলের দেখা তাই আর পাওয়াই হলো না ইউক্রেনের। অধরা থেকে গেল ২০০৬ সালের পর আরও একটা বিশ্বকাপের স্বপ্ন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।