ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

নারী ফুটবলারদের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
নারী ফুটবলারদের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র পর্যায়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনেকটা মলিন হলেও অনূর্ধ্ব বিভিন্ন বয়স পর্যায়ের মেয়েরা বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলছে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মারিয়া মান্ডার দল।

২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশ শিরোপা ঘরে তুলে। এসব অর্জনকে হাইলাইট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবলে মেয়েরা আমাদের সাফল্য এনে দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (১৯ জুন, রোববার) ৬৬ জন ক্রীড়াবিদ ও ২২ জন কোচ-কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ফুটবলার, ২৩ জন নারী ফুটবলার এবং ১৮ জন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে মুজিববর্ষ সিরিজ জয়ের জন্য জাতীয় পুরুষ দল, ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূধর্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় নারী ফুটবল দল এবং গত বছর নভেম্বরে কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের এই সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পুরুষ ফুটবল দলের ২৫ জন, নারী ফুটবল দলের ২৩ জন এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের ১৮ জন খেলোয়াড়কে প্রধানমন্ত্রী ৫ লাখ টাকা করে উপহার দিয়েছেন।

এছাড়া পুরুষ ফুটবল দলের কোচ-কর্মকর্তা আটজন, নারী ফুটবল দলের কোচ কর্মকর্তা ১০ জন এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের চারজন কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকা করে উপহার দিয়েছেন।

৮৮ জনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পাঁচজনকে ডেকে হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন। তারা হলেন পুরুষ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, নারী দলের অন্যতম খেলোয়াড় মনিকা চাকমা এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান। বাকি ৮৩ জনের উপহার তাদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

তিনটি দলকে সংবর্ধনা দিয়ে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে হবে। যখন খেলতে নামবে তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা নিয়ে নামবে। আমি সব সময় তোমাদের পাশে আছি। তোমাদের যখন যা লাগে আমি দেবো। ’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলও ভালো করছে। ওরা ওয়ানডে স্ট্যাটাস অর্জন করেছে। এটা অনেক বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। তবে ফুটবল খেলাটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এ জন্য আমরা আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা ও মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলা আরও বেশি জনপ্রিয় করে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা ডাংগুলি, হাডুডু তো ভুলতে বসেছে। এসব খেলা তারা খেলেনি। আমরা খেলেছি। ডাংগুলিটা ভালো খেললে বেসবলটাও ভালো খেলতে পারবে।

প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কথাও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলায় যাতে খেলা ভালোভাবে চলে সে জন্য মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। মিনি স্টেডিয়াম সুনির্দিষ্ট কোনো খেলার জন্য না, সব ধরনের খেলার জন্য। ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার আয়োজন করা যেতে পারে। ক্রিকেট খেলার জন্য পিচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটিকে সুরক্ষিত রেখে একপাশে ফুটবলও খেলা যেতে পারে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণির ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাউদ্দিন, নারী অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা এবং বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

স্বাগত বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ ও বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।